গাজীপুরের কালীগঞ্জে রবিবার রাতে সাবেক সংসদ সদস্যের (এমপি) ছেলে ফয়সালকে গুলি করে হত্যার রহস্য ২৪ ঘণ্টায়ও উদঘাটিত হয়নি। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ছয়জনকে আটক করেছে। তারা হলেন, কালীগঞ্জ পৌরশহরের ভাদগাতী এলাকার নওশাদ (২৬), সুমন (২৫), মাহিউদ্দিন মহি (৩২), তারা মিয়া (৩০), হারুন মিয়া (৩৫) ও জামাই জাকির মির্জা (৩০)। সোমবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে ফয়সালের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহতের বড় ভাই হাফিজুর রহমান সাব্বির জানান, তাদের ৭ ভাইয়ের মধ্যে ফয়সাল ছিল ষষ্ঠ। সে বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুল এবং কালীগঞ্জ বাজারের মার্কেট দেখাশোনা করতেন। তিনি ও ফয়সাল গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। অন্যরা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে থাকেন। কারো সঙ্গে তাদের শত্রুতা নেই। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলম চাঁদ জানান, নিহতের স্বজনরা লাশ দাফনে ব্যস্ত থাকায় এখনো মামলা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আটক নওশাদ পুলিশকে জানিয়েছে অস্ত্র নিয়ে নাড়াচাড়ায় অসাবধানতাবশত পিস্তলের ট্রিগারে চাপ লেগে এই ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাত ১০টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরশহরের ভাদগাতী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কালীগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য মোখলেছুর রহমান জিতু মিয়ার ছেলে হাবীবুর রহমান ফয়সাল। ফয়সালের প্রয়াত বাবা ১৯৭৩ সালে কালীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ১৯৭৯ সালে কালীগঞ্জ থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে এবং ১৯৮৮ সালে স্বতন্ত্র থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।