টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই এসআই ও দুই কনস্টেবলকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়া আরও চারজনের ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল এ আদেশ দেওয়া হয়। চাকরিচ্যুতরা হলেন— ঘাটাইল থানার সাবেক এসআই বর্তমানে টাঙ্গাইলের বাসাইল থানায় কর্মরত মনসুব আহমেদ, কালিহাতী থানার এসআই বর্তমানে কিশোরগঞ্জে কর্মরত সলেম উদ্দিন, রাজবাড়ি জেলায় কর্মরত কনস্টেবল জিয়াউল হক ও আমিনুল ইসলাম। এছাড়া এসআই ওমর ফারুকের (বর্তমানে নাগরপুর থানায় কর্মরত) পাঁচ বছরের, এসআই আবুল বাশারকে (বর্তমানে নেত্রকোনা) তিন বছরের এবং কনস্টেবল মাহাতাব উদ্দিন (বর্তমানে টাঙ্গাইল কোর্টে কর্মরত) ও কনস্টেবল তমাল চন্দ্রের ইনক্রিমেন্ট দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম জানান, কালিহাতীতে পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিভাগীয় মামলা হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চারজনকে চাকরিচ্যুত এবং চারজনের ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামে রফিকুল ইসলাম রোমা ও তার ভগ্নিপতিসহ কয়েকজন ঘাটাইলের আলামিন ও তার মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দোষীদের শাস্তির দাবিতে ১৮ সেপ্টেম্বর ঘাটাইলের হামিদপুর বাজারে ও কালিহাতী সদরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে চারজন নিহত হন ও গুলিবিদ্ধ হন আরও সাতজন। নিহতরা হলেন— ঘাটাইল উপজেলার ফারুক হোসেন (৩২), কালিয়া গ্রামের শামীম (৩৫), কালিহাতী উপজেলা সদরের শ্যামল দাস (১৫) ও বেতডোমা গ্রামের রুবেল হোসেন (২০)।
