রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

দীপ্তি হত্যামামলার দায় স্বীকার স্কুলপড়ুয়া সন্তানের

নির্যাতন করে জবানবন্দি আদায়— দাবি বাদীর

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদী শহরে দীপ্তি হত্যামামলার দায় স্বীকার করেছে তারই স্কুলপড়ুয়া ছেলে প্রিতম। শুক্রবার সন্ধ্যায় নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনীসা রায়-এর আদালতে এ জবানবন্দী দেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবার বলছে— সন্তান কখনো মাকে হত্যা করতে পারে না। দিনদুপুরে এ হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। নয় তো পুলিশ পিটিয়ে ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে  হত্যার দায় স্বীকার করতে বাধ্য করা হবে কেন? মামলার বাদী ও পরিবারের দাবি— চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ধূম্রজাল জাল তৈরি করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়— নিহত দীপ্তি ভৌমিকের ছেলে প্রিতম। সে দশম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার দিন তার ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরলে দীপ্তি পরীক্ষা কেমন হয়েছে জানতে চান। পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় মা দীপ্তি তার ছেলে প্রিতমকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে মারধরও করেন। ছেলেকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এতে প্রিতম উত্তেজিত হয়ে রান্না ঘর থেকে বটি এনে মাকে জবাই করে হত্যা করে।

গত ৮ জুলাই দুপুর ২টার দিকে পৌর শহরের মধ্যকান্দাপাড়া মহল্লার গোপীনাথ জিউর আখড়াধাম সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাসায় খুন হন দীপ্তি ভৌমিক (৪৭)। তার স্বামী  প্রদীপ ভৌমিক শেখেরচর বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন। ঘটনার দিন সকালেই স্বামী প্রদীপ ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর পরই তার ছেলে পরীক্ষা দিতে স্কুলে যায়। দুপুর ১টার পর  বাসায় ফিরে মায়ের জবাই করা লাশ দেখতে পায়।

প্রদীপ সাহা বলেন, আমার ছেলে প্রিতম তার মাকে হত্যা করতে পারে না। পরিকল্পিতভাবে আমার স্ত্রীকে হত্যা করে আমার একমাত্র ছেলেকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন প্রিতমকে পিটিয়ে ও ইলেকট্রিক শক দেওয়াসহ নানা ধরনের নির্যাতন করা হয়। তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আদালতে জবানবন্দী দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর