মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

কীর্তনখোলায় বিলীন ২৫ দোকান হুমকিতে মাদ্রাসা-ইউপি ভবন

লক্ষ্মীপুর লালমনিরহাটে ভয়াবহ ভাঙন

প্রতিদিন ডেস্ক

বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া খেয়াঘাটে ২৫ দোকানসহ বিশাল এলাকা কীর্তনখোলা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে একটি মাদ্রাসা ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। এছাড়া লক্ষ্মীপুরে রহমতখালী এবং লালমনিরহাটে তিস্তা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— বরিশাল : চরকাউয়া খেয়াঘাটের বিশাল এলাকা রবিবার গভীর রাতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। মুহূর্তে মধ্যে নদীতে তলিয়ে যায় ২৫টি দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চরকাউয়া আহম্মেদিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার একাংশও হারিয়ে যায় নদী গর্ভে। এখন পুরো মাদ্রাসা ও চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদও ভাঙনের হুমকির মুখে। স্থানীয় ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, ভাঙনে গতরাতে বহু দোকানপাট হারিয়ে গেছে। স্থানীয় ফাজিল মাদ্রাসা এবং ইউপি ভবনও বিলীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের কাগজপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিরাপদে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা। লক্ষ্মীপুর : অতিবৃষ্টি আর জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী নদীর ১৬ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী তীরের পাঁচ গ্রামের হাজারও পরিবার বসতভিটা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এখনো হুমকির মুখে রয়েছে বহু ঘরবাড়ি, হাট-বাজারসহ অন্যান্য স্থাপনা। লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইয়ার আলী বলেন, রহমতখালী নদীর ১৬ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বৃহত্তর নোয়াখালীর পানি এ নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিপুল পরিমাণ পানি একই জায়গা দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তীব্র স্রোতে ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনরোধে ইতিমধ্যে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। লালমনিরহাট : তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজানের তীব্র ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। চোখের সামনেই বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য স্থাপনা। সবশেষ রবিবার রাতে আদিতমারীর গোবর্ন্ধন ইসমাইলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাতিবান্ধার ডাউয়াবাড়ি চরের হলদিবাড়ি সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের অর্ধেক তিস্তায় বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, দ্রুত ভাঙন রোধ করা না হলে কয়েকটি গ্রাম নদীর পেটে চলে যাবে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লা আল মামুন জানান, ভাঙনরোধে কোনো বরাদ্দ না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর