অর্থাভাবে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে ফেরাটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করছেন ভারতে আটক আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিবার। তাদের দাবি মামুন কোনোভাবেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়। পুলিশ বলছে, বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের মধ্যে আলোচনা হলে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
মামুন ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার ঢাকুয়া ইউনিয়নের বড় বালকি উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গাফ্ফার খানের ছেলে। মামুন আটক হওয়ার বিষয়টি শুনে ভেঙে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। তবে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত এক মাস ধরে মুজাফফর নগরের কুটসেরা এলাকায় অবস্থান করছিলেন মামুন। বাংলাদেশ থেকে যে জঙ্গিরা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিত তাদের জন্য ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা ছিল তার দায়িত্ব। সোমবার দুপুরে মামুনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মামুনের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার ও এলাকাবাসী। মামুনের মা আনোয়ারা বেগম নিজের সন্তানকে সবচেয়ে মেধাবী আখ্যায়িত করে জানান, দরিদ্রতার কারণে তাকে অনেক কষ্ট করে আমরা পড়াশোনা করিয়েছি। পড়াশোনা শেষে অর্থাভাবে অবৈধভাবে দেশে আসতে চেয়েছিল। এ সময় ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, ভারতে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি মসজিদে ইমামতি করে পড়াশোনার খরচ চালাতো মামুন। ফেসবুকের মাধ্যমে তার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হতো।
জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা পেয়ে মামুনের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে রবিবার তার গ্রামের বাড়িতে যান জেলা পুলিশের টিম। দুই দেশের সরকার পর্যায়ে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।