রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

সম্পদই কাল হলো মাধব চন্দ্রের!

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

মা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালোই চলে চলছিল কৃষক মাধব চন্দ্রের সংসার। বাবাহারা একমাত্র ছেলে মাধব উত্তরাধিকারসূত্রে মোটামুটি সম্পদশালী। এ সম্পদই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জীবনে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জয়নারায়ণপুর গ্রামের মনিন্দ্র চন্দ্রের ছেলে মাধব চন্দ্র। স্থানীয় প্রভাবশালী ও দালালরা প্রথমে তার হাত-পা বেঁধে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে সাড়ে তিন একর জমির আমমোক্তারনামা তৈরি করে। এ ঘটনায় মাধব শ্রীপুর থানায় মামলাও করেন। এখন উল্টো মাধব ও তার স্বজনদের নামে ডাকাতি মামলা দিয়ে তাদের ফাঁসানোর পাঁয়তারা করছে অভিযুক্তরা। মাধবের দুই সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠানো নিয়েও তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

মাধব চন্দ্র জানান, গত ৪ মার্চ ভোরে কয়েকজন বাড়িতে খবর পাঠায় কে বা কারা তার বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত বাগানে গেলে অভিযুক্তরাও পেছন পেছন যায়। সেখানে মাধবকে গলা চেপে ধরে হত্যার ভয় দেখায়। পরে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও টিপসহি নেয়। এ ঘটনায় ওই দিন শ্রীপুর থানায় জিডি করেন তিনি। পরে জানতে পারেন স্বাক্ষর নেওয়া স্ট্যাম্প দিয়ে আমমোক্তারনামা দলিল তৈরি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত করা হয় একই গ্রামের স্বপন, আরিফ, বামনগাঁও গ্রামের আব্দুর রউফ মেম্বার ও অজ্ঞাত চারজনকে। এরপরই অভিযুক্তরা ক্ষুব্ধ হয়ে ৪ আগস্ট রাতে থানায় ডাকাতির মিথ্যা অভিযোগ করে। এতে মাধবসহ তার স্বজনদের অভিযুক্ত করা হয়।

 স্থানীয় রাজাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জানান, এলাকার সবাই মাধবকে ভাল মানুষ হিসেবে জানে। ডাকাতির অভিযোগ তদন্তকারী এসআই এখলাস উদ্দিন জানান, এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, মাধবকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত আব্দুর রউফ মেম্বার জানান, মাধব চন্দ্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সর্বশেষ খবর