সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন হয়নি, কাটেনি শঙ্কা

পাহাড় ধসের দুই মাস

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটিসহ পার্বত্য তিন জেলায় পাহাড় ধসের দুই মাস পূর্ণ হয়েছে গতকাল। ১৩ জুনের ওই ধ্বংসযজ্ঞে শুধু রাঙামাটিতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন ১২০ জন। ভিটেমাটি হারিয়েছেন হাজারো মানুষ। দীর্ঘ দুই মাসেও পুনর্বাসন হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর। এখনো অনেকে রয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তার কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এরই মধ্যে রাঙামাটিতে গত চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে আবারও পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন মানুষ। বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। ১৩ জুনের পাহাড় ধসের ঘটনার পর ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। তালিকায় উল্লেখ করা হয়, রাঙামাটির ১০ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১২ হাজার ৫৫৮টি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন, বিদ্যুৎ, শিল্প কারখানা, মত্স্য খামার। মারা গেছে বহু গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি। নষ্ট হয়েছে ১৮ হাজার ৯৯ হেক্টর ফসলি জমি। জানা যায়, রাঙামাটিতে দুর্যোগের সময় ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা থাকলেও এখন আছে মাত্র পাঁচটি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে লোকসংখ্যাও কমেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিকটাত্মীয় ও ভাড়া বাসায় উঠেছেন। রাঙামাটি জিমনেশিয়াম আশ্রয় কেন্দ্রের পরিবারগুলোর দলনেতা গুণেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন— ‘পাহাড় ধসে সব হারিয়ে দুই মাস ধরে এখানে রয়েছি। জানি না আর কতদিন থাকবো। এখনো অনিশ্চিত আমাদের পুর্নাবাসন’। জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান জানান, ক্ষয়ক্ষতির এ হিসাব চূড়ান্ত নয়। যদিও প্রাথমিকভাবে নিরূপণ করা খসড়া এরই মধ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য তথ্য আরও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। চূড়ান্ত তালিকা আবার সরকারের কাছে পাঠানো হবে। তাছাড়া পুনর্বাসন প্রক্রিয়াও চলছে।  প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসে প্রাণ হারান ১২০ জন। আহত হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। ওই ঘটনায় এখনো নিখোঁজ প্রায় ১৭টি পরিবার। সেদিন রাঙামাটি শহরসহ জেলার বিভিন্ন জায়গা পরিণত হয়েছিল ধংসযজ্ঞে।

সর্বশেষ খবর