মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

সেদিন ভৈরবে যে ২২ জন গ্রেফতার হয়েছিলেন

প্রথম শাহাদাত বার্ষিকী পালন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম শাহাদাত বার্ষিকী পালনের কারণে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ২২ জন নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছিলেন। গ্রেফতারের পর তাদের অমানুষিক নির্যাতনের পর মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছিল। সেদিন গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক বলেন, ১৯৭৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম বার্ষিকীতে মিলাদ ও কোরআন খতমের আয়োজন করেছিলেন তৎকালীন ভৈরব থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে পৌর মেয়র) অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ। স্থানটি ছিল হাজী আসমত কলেজের নিউ হোস্টেল। ১০ জন হাফেজকেও আনা হয়। বিকালে কোরআন খতমের কাজ চলাকালীন পুলিশ এসে ঘেরাও করে কোরআন খতম বন্ধ করে দেয় এবং বঙ্গবন্ধুকে গালিগালাজ করতে থাকে। পুলিশ উপস্থিত সবাইকে লাঠিপেটা করে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়েও নির্যাতন করা হয়। হাফেজদের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়। পরে ২২ জনকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়। দীর্ঘদিন হাজতবাস করে তারা জেল থেকে বের হয়ে আসেন। সেদিন যারা গ্রেফতার হয়ে নির্যাতন ভোগ করেছিলেন, তারা হলেন— অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক, রুহুল আমীন, মাহবুবুর রহমান, মতিউর রহমান, মফিজুর রহমান, মোশারফ হোসেন জজ মিয়া, জিল্লুর রহমান জিল্লু, আসাদ মিয়া, আতাউর রহমান, আসাদুল হক শিশু, দিলীপ চন্দ  সাহা, দীজেন্দ  সাহা, প্রয়াত ফজলুর রহমান, আবদুল হামিদ, ইদ্রিস মিয়া, মো. শাহজালাল, ফিরোজ মিয়া, সুবল চন্দ  কর, আফজাল ভূইয়া, রসরাজ সাহা ও মাহবুব আলম। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন আর বেঁচে নেই।

সর্বশেষ খবর