বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

নাগরিক সুবিধাবঞ্চিতের বাড়তি যন্ত্রণা জলাবদ্ধতা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

নাগরিক সুবিধাবঞ্চিতের বাড়তি যন্ত্রণা জলাবদ্ধতা

শ্রীপুর পৌরসভার বেগুনবাড়ির বাসিন্দারা যাতায়াত করেন সাঁকোতে

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা কাগজেকলমে প্রথম শ্রেণির হলেও নাগরিক সেবার দিক থেকে একেবারে পিছিয়ে। করের বোঝা মাথায় নিয়ে পৌর এলাকার বাসিন্দা— এটাই তাদের সান্ত্বনা। পৌরবাসী অন্যান্য সুবিধা-তো পানই না, তার ওপর বছরের পর বছর জলাবদ্ধতা আর ভাঙাচোরা রাস্তা তাদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বাড়তি যন্ত্রণা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টিতেই পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা এবং যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় নোংরা পানি ও দুর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশে। পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেগুণবাড়ী এলাকার ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করলেও বাড়িতে ঢোকার রাস্তা নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই উঠানে পানি জমে। বৃষ্টি একটু বেশি হলে ঘরে ঢুকে যায় পানি’।

পৌরবাসীর অভিযোগ, সড়কে বড় বড় গর্ত থাকায় প্রতিদিন কেউ না কেউ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তফা কামাল প্রধান জানান, শ্রীপুর আনসার রোড দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোড়া থাকলেও পৌরসভা সংশ্লিষ্টরা এদিকে নজর দিচ্ছেন না। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে। একই চিত্র ৫ নম্বর ওয়ার্ডেও। শ্রীপুর থানা রোড এলাকার পথচারী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশ সদস্যরা জানান, এ সড়কের আশপাশে কোথাও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। থানা রোডের সব ব্যবসায়ী প্রস্রাব করা, আবর্জনা ফেলার জন্য রাস্তার পাশের ড্রেনকে বেছে নেয়। কিছুদিন আগে শ্রীপুর থানার এসআই সৈয়দ আজিজুল হক থানা রোডের পাশে নিজ উদ্যোগে বাঁশের খুঁটি দিয়ে প্রাচীর তৈরি করে দেন। সেটিও এখন নেই। নাক চেপে থনা রোড, পোস্ট অফিস রোড দিয়ে চলাফেরা করতে হয়।

শ্রীপুর পৌর মেয়র আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, জলাবদ্ধতার সমস্যা নতুন কিছু নয়। অনেক আগে থেকে বর্ষা মৌসুমে এ সমস্যা দেখা দেয়। সড়কের আশপাশের আবাসিক ভবন মালিকরা তাদের সেপটিক ট্যাংকের পানি সড়কে ছেড়ে দেওয়ায় দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমে থাকে। এছাড়া শিল্প-কারখানার মালিকরা ডোবা-নালা সব ভরাট করে ফেলেছেন। এ কারণে বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না।

সর্বশেষ খবর