রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘৪-৫ লাখ টাকায় রাজাকার হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা’

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

‘মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে টাকা দিলে সব হয়। টাকায় মেলে সনদ। ৪-৫ লাখ টাকায় রাজাকার হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। এভাবে চলতে পারে না।’ সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কয়েক মুক্তিযোদ্ধা এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অমুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানান। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রহিম। উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী, সুভাষ সরকার, আব্দুল মোমেন প্রমুখ। আব্দুর রহিম বলেন, দেবহাটা উপজেলার সখিপুর গ্রামের আবুল কাশেম ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পর বাগেরহাট, বরিশাল, খুলনা অঞ্চল থেকে ভারতগামী শরণার্থীদের সম্পদ লুণ্ঠনে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি সখিপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও দেবহাটা-কালিগঞ্জ শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মুসলিম লীগ নেতা আব্দুল করিমের হাত ধরে রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখান। মুক্তিযুদ্ধে দেবহাটা এলাকা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর আবুল কাশেম আত্মগোপনে চলে যান। কিছুদিন পর এলাকায় ফিরে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিতে থাকেন। যুদ্ধাহত বলে ভারতীয় ডাক্তারের জাল সার্টিফিকেটও দেখান। পরে কাশেম নানা কৌশলে সবাইকে ম্যানেজ করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেন। সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাশেমের সনদ বাতিল ও তার শাস্তির দাবি এবং তালিকা থেকে সব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম বাতিলের দাবি জানানো হয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় দুর্নীতির আখড়া। সেখানে টাকায় মেলে সনদ। ৪-৫ লাখ টাকা দিলে রাজাকার হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা।’

সর্বশেষ খবর