রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

হাওরে মাছ ধরা পড়ছে কম সংকটে মৎস্যজীবীরা

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

 অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জুড়ি, কুলাউড়া, রাজনগরসহ পাঁচটি উপজেলার হাওরপাড়ের জনজীবনে এখনো চলছে হাহাকার। বন্যার পানি কমলেও জলাবদ্ধতায় টইটম্বুর জেলার মৎস্য ভাণ্ডার হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওর। তাই অন্য বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম মাছ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে হাওর পাড়ের জেলে পরিবার। হাওরগুলোতে কম মাছ ধরা পড়ায় জীবিকার সংকটে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। তাদের ঘরে চলছে অভাব-অনটন। হাওরাঞ্চলের বাড়িঘর থেকে বন্যার পানি নামলেও হাওরে এখনো স্বাভাবিকের চেয়ে অমনক বেশি পানি। পানিতে তাই মাছ মিলছে কম। মাছ ধরা না পড়ায় এবং বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক জেলে। মিলছে না সরকারি ত্রাণ সহায়তাও।

কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি হা্ওর পাড়ের জেলে বটলাই মিয়া জানান, ’এই বছর হা্ওরে বেশি পানি থাকার কারণে জালে মাছ কম ধরা পড়ছে। আন্যান্য বছর আমরা জালে গিয়ে জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কামাই করতাম এ বছর ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কামাই করি। কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি।’ বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওর পারের জেলে আসলাম মিয়া জানান, হাওরে পানি বেশি থাকার কারণে পানিতে ঢেউ থাকে বেশি তাই জালে এ বছর মাছ কম ধরা পড়ছে। রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওর পাড়ের জেলে রেমান মিয়া বলেন, ‘এই বছর হাওরে খুব বেশি পানি এর সঙ্গে বাতাসও খুব বেশি। অনেক সময় বাতাসের কারণে জাল দিয়ে মাছ ধরা যায় না। আর মাছ চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাই জালে ধরা পড়ছে না’। জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা জেলায় ১৩ হাজার ৪০০ নিবন্ধিত মৎস্যজীবী আছেন। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধনের বাইরেও অনেক মৎস্যজীবী রয়েছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদ্দুছ আকন্দ বলেন, ‘এবার আগাম বন্যা হওয়ায় মাছের উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে এই সময়ে মাছ কিছুটা কম ধরা পড়ে।’

সর্বশেষ খবর