সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে সিংড়ানাটোর জমিদার পরিবার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে সিংড়ানাটোর জমিদার পরিবার

ঝিনাইদহে সিংড়ানাটোর জমিদার পরিবারের লাইসেন্স হাতে এক সদস্য

মুঘল নবেল সম্রাট সিংড়ানাটোর জমিদার পরিবার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। পরিবারের সদস্যদের বসবাস ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর পাইকপাড়া (পেলেনপুর) গ্রামে। এখন আর তাদের খোঁজ রাখে না কেউ। জমিদারী বিলুপ্ত হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে ১২ কিমি সীমানার উপর বিস্তৃত সাব্দাল বেড়া নামে পরিচিত চারদিকে ঘুরানো নকশা করা লোহার বাড়িটিও এখন আর নেই। ৪০ বছর আগে বাড়িটি বিক্রি করায় তাদের জমিদারি পরিচিতিটা এখন আড়ালে পড়ে আছে। জমিদারী কাজে ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে আছে পরিবারের কাছে। ব্রিটিশ আমলে সরকারি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হতো ইন্ডিয়ান মহারাজ গদিঘর অর ডোরা হাউজ থেকে। সেখান থেকে ট্যাক্স এবং ব্যবসাবাণিজ্য পরিচালনা করা হতো। বংশ পরম্পরায় মির্জা জালাল উদ্দিন শাহ মারা যাওয়ার পর পরিবারে নেমে আসে দুর্যোগ। তখন একমাত্র উত্তরসূরি ছিলেন মির্জা জালাল উদ্দিনের বড় ভাই আব্দুর রহীম শাহের একমাত্র সন্তান আবুল হুসাইন শাহ। তিনি ছিলেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক। রাজকার্য বা ব্যবসা পরিচালনা করার মতো যোগ্যতা ছিল না বলে ইন্ডিয়ান বিওসি কোম্পানি তথ্য পায় পরিবারটি বিলুপ্তি হয়ে গেছে। এই কারণে সে সময় ওই পরিবারের জন্য আসা ট্রাকভর্তি মাল ইন্ডিয়ায় ফেরত যায়। বর্তমানে এই জমিদার পরিবারের সদস্যদের অভাব-অনটনে দিন কাটছে। এখন তাদের কাছে আছে একটি বিওসি ইন্টারন্যাশনাল একটি লাইসেন্স। জমিদার পরিবারে আবুল হুসাইন শাহর স্ত্রী শাহী মমতাজ বেগম গৃহিণী। তার তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে জামাত আলী পেশায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি। মেঝ ছেলে জিল্লুর রহমান কাঠমিস্ত্রী আর ছোট ছেলে ইমরান মাইক্রোচালক। মেয়ে শাহজাদি রত্নার বিয়ে হয়ে গেছে। এলাকাবাসী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী মুঘল নবেল সম্রাট সিংড়ানাটোর জমিদার পরিবারটি পুনর্বাসন করার।

সর্বশেষ খবর