বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় মুখথুবড়ে পড়েছে মাদারীপুর বিসিক

দুর্ভোগে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় মুখথুবড়ে পড়েছে মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগরী। সঙ্গে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে শিল্পনগরী এলাকার খানাখন্দে ভরা সড়ক ও জলাবদ্ধতা। নানাবিধ সমস্যায় চরম দুর্ভোগে বিসিকের ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন ধরে চলা সমস্যার কারণে বড় বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদারীপুরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নের লক্ষ্যে শহরের তরমুগুরিয়ায় ১৬ একর জমিতে ১৯৮১ সালে গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। ১৩৫টি প্লটে ভাগ করে বরাদ্দযোগ্য ১২৬টি প্লটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগরীর অভ্যন্তরের প্রায় সবকটি সড়ক খানাখন্দে ভরা। বর্ষায় এখানে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে হয় দ্বিগুণ। বিঘ্নিত হয় পণ্য পরিবহন। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন শিল্পমালিকরা। এদিকে বিসিক কর্মকর্তাদের অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় আলোর মুখ দেখেনি প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার লক্ষ্য। নতুন বিনিয়োগে আকৃষ্ট হচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। এ কারণে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। আবার বিসিকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে অনেক প্লটে শিল্পপ্রতিষ্ঠান না করে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। ভাই ভাই ওয়েল মিলের মালিক হাবিবুর রহমান জানান, রাস্তাঘাটের করুণ দশার কারণে তাদের মালামাল উৎপাদন ও বিপণন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ বিসিকের উন্নয়ন দাবি করেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমান কর্মকর্তাদের অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণেই বিসিক নগরী মুখ থুবড়ে পড়েছে। তারা ব্যবসায়ীদের কোনো ধরনের সহযোগিতা করেন না। মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগরীর উদ্যোক্তা নুর-ই আলম চৌধুরী বাবু বলেন, ‘আমার একটি প্লট হস্তান্তরের জন্য বিসিকের বর্তমান কর্মকর্তা ইউসুফ আলী মোল্লা মোটা অংকের টাকা উেকাচ নিয়েছেন। তার কাছে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না।’ জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য রাজন মাহমুদ বলেন, ‘মাদারীপুর বিসিকে প্লট নিয়ে অনেকে গুদাম হিসেবে ভাড়া দিচ্ছেন। এতে সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে।’ বিসিক শিল্পনগরীর এজিএম ইউসুফ আলী মোল্লা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বর্তমানে রাস্তাঘাটের কিছু সমস্যা রয়েছে। উেকাচ গ্রহণের বিষয়টি সত্য নয়।’ জেলা প্রশাসক ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু অনিয়মের কথা শুনেছি। দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর