টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু নামে পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে থানায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে ঘাটাইল থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। গতকাল বিকালে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতা ওই নারী এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার টেপিকুশারিয়া গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে মিন্টু দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। স্বামী বিদেশ থাকায় একমাত্র ছেলে শুভকে (১৩) নিয়ে থাকতেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২৭ জুন রাত ৮টার দিকে তার ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। যাওয়ার সময় ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করা হয়েছে বলে জানান। এ কথা কাউকে বললে ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর ধর্ষণের চিত্র প্রকাশের ভয় দেখিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন মিন্টু। তিনি বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় মিন্টু তার সহযোগী ইদ্রিস আলীকে সঙ্গে নিয়ে আবার আমার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। এসময় তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে মিন্টু পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। ওই গৃহবধূ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। অভিযুক্ত এএসআই মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু বর্তমানে সিলেটে মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। সম্মেলনে ধর্ষিতা নারীর সঙ্গে স্বামী জয়নাল আবেদীন, স্বামীর বড় ভাই জসিম উদ্দিন এবং প্রতিবেশী হারুন অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন বলেন, মিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু জানান, ঘটনাটি সাজানো একটি ষড়যন্ত্র। তার মানসম্মান হেয় করার জন্যই প্রবাসীর ওই স্ত্রী এমন অভিযোগ তুলেছেন।
