বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘নারী-পুরুষের সম্মিলিত চেষ্টায় কৃষিতে আরও উন্নয়ন ঘটবে’

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

কৃষিক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। এ জন্য কৃষির নতুন পদ্ধতি শুধু পুরুষদের শেখালে চলবে না, নারীদেরও শেখাতে হবে। তাহলেই নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কৃষিক্ষেত্রে আরো উন্নয়ন ঘটবে। চুয়াডাঙ্গা সদরের বোয়ালিয়া গ্রামে কৃষাণি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর। মঙ্গলবার দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশ নেন ৪০ জন কৃষাণি। এদের হাতে-কলমে সবজি চারা উৎপাদনের সঠিক নিয়ম-কানুন শেখানো হয়। ওয়ালমার্ট ফাউন্ডেশনের সবজি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ (এভিপিআই) প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্র (আইএফডিসি) এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রশিক্ষণ দেন আইএফডিসির ফিল্ড মনিটরিং অফিসার আলমগীর রশিদ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। আয়োজকরা জানান, এখন চুয়াডাঙ্গায় শীতের সবজি-চারা উৎপাদনের কাজ চলছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কাজ করছেন। এ জন্য নারীদের ভাল চারা উৎপাদনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। কর্মশালায় নারীদের পলিনেট ব্যবহার করে ভালমানের চারা উৎপাদনের পদ্ধতি শেখানো হয়। কৃষাণীদের মাঠে নিয়ে পলিনেট দিয়ে ঘেরা চারা ও বাইরে উৎপাদন করা চারার পার্থক্য দেখানো হয়। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কৃষাণি মুক্তা খাতুন বলেন, ‘পলিনেট দিয়ে ঘেরা চারা তরতাজা। বাইরের চারা অতোটা সতেজ নয়। তাছাড়া পলিনেট ঘেরা চারায় কোনোক্রমে পোকার আক্রমণ হবে না। চারার গুণগত মান ভাল হবে।

সর্বশেষ খবর