বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঐতিহ্যবাহী ধানের চারার হাটে জমজমাট বিকিকিনি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ঐতিহ্যবাহী ধানের চারার হাটে জমজমাট বিকিকিনি

হাটে বিক্রি করতে আনা ধানের চারা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুরে ধানের চারার হাটে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। প্রায় চার দশক ধরে নিয়মিত বসেছে এ হাট। ব্যতিক্রমধর্মী এ চারার হাটে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে বিকিকিনি। দূর-দূরান্ত থেকে কৃষকরা আসেন চারা সংগ্রহ করতে।

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুরে ধানের চারার হাটে এখন সবুজের সমাহার। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বিভিন্ন জাতের চারা নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও কুমিল্লা, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতা আসছেন এখানে। প্রতি আটি চারা বিক্রি হচ্ছে ৮০/১২০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, দিনে ৪/৫ লাখ টাকার চারা ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। ট্রাক দিয়ে অন্য জেলা থেকে পাইকার এসে চারা নিয়ে যান। প্রতি বছর ভাদ্র মাস থেকে জমে উঠে এ বাজার। বেচাকেনা চলে মাস দুয়েক। জানা যায়, স্থানীয় কৃষকরা নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বিক্রির জন্য চারা প্রস্তুত রাখেন। ভাদ্র মাসের আগেই চারা বুনেন তারা। কোনো অবস্থায় যাতে চারার সংকট দেখা না দেয় সেজন্য কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ নিজেদের উদ্যোগে চারার মাঠ তৈরি করে। ফলে এ জেলায় চারা উদ্বৃত্ত থাকে। পরে তা জেলার বাইরের কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হয়। চলতি বছরও ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতর চার শতাধিক কৃষক দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বীজতলা প্রস্তুত করেছে। এসব বীজতলায় উৎপাদিত চারা কৃষকরা নিয়ে আসছেন বাজারে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু নাছের বলেন, ‘বন্যার কথা চিন্তা করেই আমরা পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বীজতলা প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেই। সেভাবেই বীজতলা প্রস্তুত হয়। কৃষকের প্রয়োজনে এখন তা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর