সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের পপুলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে দেশীয় প্রজাতির কয়েক হাজার কৈ মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিষ ঢেলে এ সব মাছ মারা হয়। এখন একে অপরের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদউদ্দিন জানান, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে আশপাশের ডোবা-নালা থেকে দেশীয় জাতের কৈ মাছ মাঠের জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। ওই মাছগুলো ডিম ছেড়ে পোনা উৎপাদন হলে হাজার হাজার কৈ মাছে ভরে যায় পানি জমে থাকা স্কুলমাঠ। পরিচালনা কমিটির সভায় মাছ লালন-পালন ও বর্ষা মৌসুম শেষে বিক্রি করে বিদ্যালয় তহবিলে টাকা জমা করার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী তিনি মাছের পরিচর্যা করতে থাকেন। স্থানীয় একটি মহল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য ‘বিদ্যালয়মাঠে মাছ চাষ’-এমন স্ট্যাটাস দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর পরই জেলা প্রশাসক মাছগুলো অবমুক্ত করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার সকালে মাঠের পানিতে শত শত কৈ মাছ মরে ভেসে ওঠে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খোকন জানান, মাঠে মাছ চাষ করায় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসক মাছগুলো অবমুক্ত করার নির্দেশ দেন। প্রধান শিক্ষক মাছ অবমুক্ত না করে বিষ ঢেলে মেরে ফেলেন। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি আনিচুর রহমান দুলাল জানান, কিভাবে মাছ মরলো তিনি জানেন না। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘প্রায় ছয় মাস আগে বহিষ্কৃত সভাপতি আনোয়ার হোসেন পলাশ স্কুলমাঠে কৈ মাছ লালন-পালন নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালান। স্থানীয়দের ভাষ্য, ইউপি চেয়ারম্যান বহিষ্কৃত সভাপতির লোক।
