রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কমলনগরে অতিবৃষ্টি-জোয়ারে ১২৩৫ কিমি সড়কের ক্ষতি

অরক্ষিত উপকূল

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের ভাঙনকবলিত উপজেলা কমলনগর। এখানকার মেঘনাপাড়ে বেড়িবাঁধ না থাকায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে উপকূল। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে জোয়ারে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। চলতি বছর বর্ষায় অতিবৃষ্টি ও জোয়ারে কমলনগরের ৯ ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার ২৩৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়কের কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। কিছু সড়কের অবস্থা হয়েছে একেবারে বেহাল। উপজেলার পাটারিরহাট, চর ফলকন, সাহেবেরহাট, চর কালকিনি, চর মার্টিন ও চর লরেন্সসহ অধিকাংশ ইউনিয়ন মেঘনা উপকূলীয়। নদীতীর অরক্ষিত থাকায় বর্ষা মৌসুমে প্রায় প্রতিদিন এই জনপদের নিচু এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। তলিয়ে যায় বেশিরভাগ রাস্তাঘাট। চলতি বছর জোয়ার ছাড়াও অতিবৃষ্টিতে চর কাদিরা, তোরাবগঞ্জ ও হাজিরহাট ইউনিয়নের সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, জোয়ার ও বৃষ্টির কারণে রাস্তার দুই পাশের মাটি সরে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্তের। কোথায় পুরোটাই ভেঙে গেছে। এখন সামান্য বৃষ্টিতে পানিকাঁদা জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। এলাকাসীর ভাষ্য, এ বছর বৃষ্টি বেশি হয়েছে। মেঘনায় জোয়ারের চাপও ছিল বেশি। বাঁধ না থাকায় প্রায়ই রাস্তাঘাট ডুবে যেতো। কখনো বসতঘরেও পানি ঢুকেছে। ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বাড়িঘর-সড়ক ও ফসলের।

স্থানীয় হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন ও তোরাবগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতন জানান, জরুরি ভিত্তিতে সড়কগুলো সংস্কার প্রয়োজন। পাটারিরহাটের চেয়ারম্যান অ্যাড. নুরুল আমিন রাজু জানান, ‘তার ইউনিয়নের পাটারিরহাট, ফিশঘাট, খায়েরহাট, লেচকি ও গাড়িঘাটাসহ প্রায় সবকটি সড়ক বৃষ্টি ও জোয়ারে নষ্ট হয়েছে। ওই সব সড়কের তালিকা করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানাবেন। কমলনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও ভোক্তভোগীরা জমা দিচ্ছেন। পিআইও বোরহান উদ্দিন জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। আশা করি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার হবে।

সর্বশেষ খবর