শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি-বাঙালিরা ঘরে ফিরছেন, জনমনে স্বস্তি

লংগদু সহিংসতার ১৩৩ দিন

রাঙামাটি প্রতিনিধি

দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার মাস (১৩৩) দিন পর শান্তির সুবাতাস বইছে রাঙামটির লংগদু উপজেলায়। ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি-বাঙালিরা। স্বস্তি দেখা দিয়েছে জনমনে। তৈরি হয়েছে পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস। অভিযোগ রয়েছে, গত ২ জুন এক যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে লংগদুতে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। দুর্বৃৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় উপজেলার তিনটিলা, মানিকজোড় ছড়া ও বাট্টাপাড়া গ্রামের বহু বাড়িঘর। অনেকে বসতভিটা ছেড়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় একে অপরের প্রতি আস্থা হারায় পাহাড়ি-বাঙালিরা। দীর্ঘদিন পর আশ্রয় কেন্দ্র, ভাড়া বাসা ও স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া লোকজন নিজ ভিটায় ফিরতে শুরু করেছেন। এদিকে লংগদু সহিসংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রকল্প। এর আওতায় নতুন ঘর নির্মাণের জন্য প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান। তিনি বলেন, আগামী নভেম্বরের মধ্যে লংগদুর তিন গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়িঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া এক বছর পর্যন্ত সরকারিভাবে ২২৪টি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল ও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে। লংগদু আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কুমার জানান, ঘরহারা মানুষগুলো এখনো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শীত মৌসুমে এভাবে থাকলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করা হলে শীতের সময় এ সব মানুষ একটু স্বস্তিতে বসবাস করতে পারবেন। লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত খবর রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। এখন সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে তাদের ঘর নির্মাণের জন্য টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর