শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

হাসি ফুটবে অর্ধ লক্ষাধিক কৃষকের মুখে

সোনাইছড়ি সেচ প্রকল্প

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় সোনাইছড়ি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনরায় হাসি ফুটবে অর্ধ লক্ষাধিক কৃষকের মুখে। গতকাল কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভে (কেটিসিসি) সমবায় অধিদফতরের রেজিস্ট্রেশনকৃত কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় জানানো হয়, কুমিল্লা গোমতী নদীর কটকবাজার পয়েন্টে ২৫ কিউসেক ভাসমান পাম্প স্থাপন করে সোনাইছড়ি খালে পানি সরবরাহ করা হবে। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএডিসি সেচ প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সুলতান আহমেদ, বিশেষ অতিথি কুমিল্লা বিএডিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ বদরুল আলম ও কুমিল্লা কেটিসিসির চেয়ারম্যান আমিনুল হক। সভায় বক্তারা বলেন, কুমিল্লা গোমতী নদীর কটকবাজার পয়েন্টে ৪ ভেন্ট স্লুুইস গেট নির্মাণ করা হয় ১৯৬৩ সালে। প্রকল্পের শুরুতে গোমতী নদী হতে গ্র্যাভিটি ফ্লো এর মাধ্যমে কিছু কিছু জায়গায় বিভিন্ন ক্ষমতার পাম্পের মাধ্যমে পানি লিফটিং করে খালের দুই পাড়ের জমিতে সেচ কাজ চালানো হতো। শুরুতে সোনাইছড়ি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, লাকসাম এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পর্যন্ত ১৩ হাজার হেক্টর জমি বোরো মৌসুমে সেচের আওতায় ছিল। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সোনাইছড়ি খালের তলদেশে পলি মাটি জমে উঁচু হয়ে যাওয়াতে স্লুুইচ গেটের মাধ্যমে গোমতী নদী থেকে সোনাইছড়ি খালে পানি প্রবেশ করতে পারে না। সভায় সোনাইছড়ি খালের পানির অভাব চিহ্নিত করে উপস্থিত কৃষকরা বলেন, দীর্ঘদিন গোমতী নদী থেকে সোনাইছড়ি খালে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় ১৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া গভীর/অগভীর নলকূপ দ্বারা ভূ-গর্ভের পানি ব্যবহারে ফসল ও পরিবেশ নষ্ট হয়। এমনকি ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিও পাওয়া যায় না। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ রহমান, বিএডিসি কুমিল্লা রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নূরনবী, কুমিল্লা কেটিসিসি’র সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর