শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আহ্বায়ক কমিটিতে ১৬ বছর মারা গেছেন ১২ সদস্য

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

আহ্বায়ক কমিটিতে ১৬ বছর মারা গেছেন ১২ সদস্য

করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির ৪৫ সদস্যের ১২ জন মারা গেছেন। কমিটির সভাও নিয়মিত হয় না। আহ্বায়ক বেশিরভাগ সময় এলাকায় থাকেন না। দলীয় বা জাতীয় কর্মসূচি পালিত হচ্ছে না বছরের পর বছর। প্রায় ১৬ বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই খুঁড়িয়ে চলছে করিমগঞ্জ আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ভেঙে নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদকে আহ্বায়ক করে করিমগঞ্জ আওয়ামী লীগের ৪৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। প্রায় ১৬ বছর ধরে সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয় এ কমিটি। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখা সাবেক ছাত্রনেতারা মূল দলে আসতে পারছেন না। ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মিরা অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। ফলে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত করিমগঞ্জে গত উপজেলা, পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিপর্যয় ঘটে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কামরুল ইসলাম চৌধুরী মামুনকে হারিয়ে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটিতে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে, আহ্বায়ক সম্মেলন না করে পদ আঁকড়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন আওলাদ। তিনি দলে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কমিটি গঠন করেছেন। কোনো কোনো ইউনিয়নে স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর অভিযোগও আছে। আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছিলেন তাদের দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারাই এখন জাতীয় পার্টির মন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর সঙ্গে আঁতাত করে দলে কোন্দল সৃষ্টি করছেন।’ সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ পেলে যে কোনো সময় সম্মেলন করতে প্রস্তুত আছি।’

সর্বশেষ খবর