সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সব ধরনের আমদানি বন্ধ

তামাবিল স্থলবন্দরে অচলাবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

শুল্ক জটিলতায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে সিলেটের একমাত্র স্থলবন্দর তামাবিলে। দেশের অন্য বন্দরের চেয়ে তামাবিলে বেশি শুল্ক আদায়ের অভিযোগে গেল প্রায় দুই মাস ধরে সব ধরনের পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে স্থলবন্দরের শুল্কের ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা অবগত না থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষের। বন্দরে অচলাবস্থার কারণে ধস নেমেছে রাজস্ব আদায়েও। গত ২৭ অক্টোবর স্থলবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে সিলেটের তামাবিল শুল্ক স্টেশন। তামাবিল শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দরে উন্নীত করার ঘোষণায় উত্ফুল্ল ছিলেন সিলেটের আমদানিকারকরা। সিলেটের একমাত্র এই স্থলবন্দর ঘিরে তারা দেখছিলেন নতুন নতুন পণ্য আমদানির স্বপ্ন। কিন্তু স্থলবন্দর ঘোষণার পর থেকেই বেড়ে যায় পণ্য আমদানি শুল্ক। সঙ্গে যোগ হয় ‘হলি ডে’ ট্যাক্স। ফলে ফিকে হয়ে আসতে থাকে তাদের ব্যবসায় সম্ভাবনার স্বপ্ন। বাড়তি শুল্ক দিয়ে ব্যবসায় লাভ করা সম্ভব নয় বলে আমদানি বন্ধ করে দেন তারা। তামাবিল পাথর চুনাপাথর আমদানিকারক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর থেকে তামাবিল দিয়ে আমদানিকৃত পণ্য থেকে বেশি শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। সোনামসজিদ বা বেনাপোল দিয়ে ১৮-২০ চাকার লরি দিয়ে পণ্য আমদানি হয়ে থাকলেও তামাবিল দিয়ে ৬ চাকার ট্রাক দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আনতে হয়। অথচ পরিবহন প্রতি একই শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া শুল্ক স্টেশনকে বন্দরে উন্নীত করার পর থেকে    তামাবিল দিয়ে পণ্য আমদানিকারকদের ‘হলি ডে’ ট্যাক্স পরিশোধ করতে হচ্ছে। অস্বাভাবিকভাবে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা তামাবিল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করে লাভ করতে না পারায় আমদানি বন্ধ রেখেছেন। তামাবিল বন্দরকে সচল রাখতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে এখন আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে পাথর ও কয়লার পরিমাণই বেশি।

সর্বশেষ খবর