মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগের দুই কর্মী খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী শাহবাবের মা সেলিনা রহমান ছাত্রলীগ নেতা আনিসুল ইসলাম তুষারকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নামে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় গ্রেফতার দুই স্কুলছাত্রকে দুই দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন— জামিল ও কনক। অন্য আসামিরা হলেন— আনিসুল ইসলাম তুষার, আরাফাত রহমান, সৈয়দ সৌমিক, আশফাকুল ইসলাম মাহদি, সনি হায়দার, প্রতীক হাসান, হৃদয় আহমদ, তামিম হাসান ও ফাহিম মুন্তাছির। পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার ফতেহপুর থেকে এজাহারভুক্ত আসামি জামিল ও কুলাউড়া থেকে কনককে গ্রেফতার করে। তারা নিহত মাহির সঙ্গে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করেন এবং তারা ছাত্রাবাসে থাকতেন। এর আগে শুক্রবার রাতে আটক করা হয়েছিল রুবেল নামে আরেকজনকে। গতকাল রুবেল, কনক ও জামিলের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ আদালতে আবেদন করলে বিচারক স্কুলছাত্র জামিল ও কনকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আকটদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত সোম অথবা মঙ্গলবার মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রবাসের পাশে ছাত্রলীগ নেতা তুষারের অনুসারী নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয় ছাত্রলীগ কর্মী নিহত শাহবাব গ্রুপের এক অনুসারীর। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তুষার মাহিকে বিদ্যালয় ছাত্রাবাস এলাকায় আসতে বলে। এ সময় শালিসের জন্য ছাত্রলীগ নেতা শাহবাবকে নিয়ে আসতে বলা হয়। খবর পেয়ে শাহবাব মোটরসাইকেলে ছাত্রবাস এলাকায় পৌঁছান। সেখানে তুষার গ্রুপের সঙ্গে তার কথাকাটাটির একপর্যায়ে শাহবাব ও মাহিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পথচারী ও সহকর্মীরা তাদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার জোড়া খুনসহ চারটি হত্যার ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যার পর কাউকে বাসা-বাড়ি থেকে বের হতে তেমন দেখা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এমনটা হচ্ছে বলে মত সাধারণ মানুষের।