রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

উন্নয়নের দাবিনামা তুলে ধরবেন স্থানীয় নেতারা

প্রধানমন্ত্রীর বরিশাল সফর

রাহাত খান, বরিশাল

আগাম নির্বাচনী প্রচারণায় ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। গত ৩০ জানুয়ারি সিলেট সফরে হজরত শাহজালাল (রহ.), শাহপরান (রহ.) ও গাজী বোরহান উদ্দিনের (রহ.) মাজার জিয়ারত, বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে জনসভায় নৌকা প্রতীকে ভোট চান প্রধানমন্ত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বাকেরগঞ্জের লেবুখালীতে পায়রা নদীর তীরে ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাসের’ ভিত্তিপ্রস্তর, তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। পরে বিকালে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে দলীয় জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। জনসভায় তার কাছে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বেশকিছু দাবিনামা তুলে ধরবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। সফর প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস এমপি বলেন, ‘না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী দখিনের উন্নয়নে পদ্মা সেতু, পায়রা সমুদ্র বন্দর, কলাপাড়া আন্দারমানিক নদীর তীরে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, দশমিনায় এশিয়ার বৃহত্তম বীজবর্ধন খামারসহ অনেক কিছু দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন। তারপরও জনসভায় তার কাছে শেরবাংলা মেডিকেল কলেজকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, ভোলার গ্যাস বরিশালে সরবরাহ, বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীর উপর সেতু নির্মাণ, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন, বরিশাল বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিকে উন্নীতসহ বেশকিছু দাবি তুলে ধরা হবে’। সদর আসনের এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ বলেন, ‘বরিশালে শিল্পায়নে গ্যাস সরবরাহ জরুরি। আর শেরবাংলা মেডিকেল কলেজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর এখন সময়ের দাবি। ৮ ফেব্রুয়ারির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবির বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দেবেন বলে প্রত্যাশা সবার’। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, ‘মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী বরিশালকে তার নিজ এলাকা মনে করেন। অতীতের যে কোনো সরকারের চেয়ে শেখ হাসিনার সরকার এ অঞ্চলের উন্নয়নে আন্তরিক। তার অবদানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসমুদ্র সৃষ্টি করা হবে’।

সর্বশেষ খবর