বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

এক বছরে তিন শতাধিক নিহত, আহত ৫০০

‘মৃত্যুকূপ’ ফরিদপুরের সড়ক-মহাসড়ক

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ফরিদপুরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। জেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঝরছে তাজা প্রাণ। সবশেষ গত মঙ্গল ও বুধবার ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১২ জন। এ দুইদিনে আহত হয়েছেন ৪০ জন। চালকদের দক্ষতা বাড়ানো এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বলে মনে করেন সচেতন মহল। হাইওয়ে পুলিশের হিসাব মতে, ২০১৭ সালে ফরিদপুরের শুধু মহাসড়কগুলোতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে ১০৮টি । এ সব ঘটনায় মারা গেছেন ১৬২ জন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক ব্যক্তি। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর এলাকার সড়কগুলোতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দেড় শতাধিক ব্যক্তির। এ সব দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা তিন শতাধিক। দুর্ঘটনার কারণে পঙ্গু হয়ে মানবেতর দিন কাটছে অনেকের। চালকদের অদক্ষতা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করছেন অনেকে। ব্লাস্ট ফরিদপুরের কো-অর্ডিনেটর শিপ্রা গোস্বামী বলেন, ‘সরকারের আইনী পদক্ষেপ আরও কঠোর হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে’। দুর্ঘটনারোধে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ফরিদপুরের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজওয়ান বিশ্বাস তরুণ বলেন, ‘আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার কারণেই প্রতিদিন অকালে ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ’। হাইওয়ে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কে হাট-বাজার থাকার কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাছাড়া বেপরোয়া গতির যানবাহন অহরহ দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনারোধে হাইওয়ে পুলিশ সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে’। ফরিদপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ চালক ও জনসাধারণের সচেতনতার অভাব। তাছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ‘ফরিদপুর জেলায় প্রায় এক হাজার ৭০০ গাড়ি রয়েছে ফিটনেসবিহীন। এ সব গাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে’।

সর্বশেষ খবর