বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

হৃদয়বিদারক!

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

গতকাল বুধবার সকাল ৯টা। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা চত্বরে পড়ে আছে পাঁচটি লাশ। লাশের পাশে মা মা করে কান্না করছে একটি ছোট্ট শিশু। নাম সোনিয়া (৭)। উত্সুক শতাধিক লোক করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে। নিহতদের মধ্যে একজন হতভাগ্য শিশুটির মা খালেদা বেগম (৩৫)। মেয়েটিকে দেখে সকালে ইজিবাইকে ফেরার পথে বাসচাপায় অন্য চারজনের সঙ্গে খালেদা মারা যান। জানা যায়, ভাঙ্গা পৌরসভার চৌধুরীকান্দা সদরদী মহল্লার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী খালেদা বেগম। ২০১২ সালে অসুস্থ হয়ে মারা যান শহিদুল। একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামীকে হারিয়ে তিন শিশুসন্তান নিয়ে দুঃখের সাগরে পড়েন খালেদা। জীবিকার তাগিদে কাজ শুরু করেন ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড়ে একটি খাবার হোটেলে। বড় ছেলে হাসান (১২) ভাঙ্গার একটি মুদি দোকানের কর্মচারী। দ্বিতীয় সন্তান রনি ঢাকায় দোকানে কাজ করে। মেয়ে সোনিয়াকে নিয়ে স্বপ্ন ছিল খালেদার। তাকে ভর্তি করে দেন বাড়ি থেকে ১০ কিমি দূরে ভাঙ্গার সাউতিকান্দা গ্রামের একটি মাদ্রাসায়। সেখানে থেকেই পড়ত সোনিয়া। মঙ্গলবার হোটেলের কাজ শেষে খালেদা মেয়েকে দেখার জন্য মাদ্রাসায় যান। সেখান থেকে গতকাল ফিরছিলেন। মেয়ের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার ২০/২৫ মিনিট পরই পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন খালেদা। উপস্থিত অনেকেই বলছিলেন বাবা-মাহারা সোনিয়ার কী হবে?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর