শিরোনাম
শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

তিন লাখ লোকের সেবায় একজন ডাক্তার

লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নাটোর প্রতিনিধি

লালপুর উপজেলার তিন লাখ জনগোষ্ঠীর জন্য রয়েছে একটি সরকারি হাসপাতাল। ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই মাস ধরে একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার দিয়েই চলছে চিকিৎসাসেবা। ১১ জন ডাক্তার বরাদ্দ থাকলেও সেবা দিচ্ছেন একজন। হাসপাতালের নিয়োগপ্রাপ্ত সাতজন মেডিকেল অফিসারের ছয়জনই কর্মস্থলে আসছেন না। একমাত্র মেডিকেল অফিসার আব্দুর রাজ্জাক রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে অনেকে প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন কেউ কেউ। আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন ২৫-৩০ জন রোগী ভর্তি হন। যদিও হাসপাতাল ৫০ শয্যার কিন্তু সব সময় এখানে ৬০-৭০ রোগী ভর্তি থাকেন। তাদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ১১ জন মেডিকেল অফিসার। সেখানে সাতজনের নিয়োগ থাকলেও ডা. মুজিবুল হক সবুজ ফাউন্ডেশনের ট্রেনিংয়ে এবং ডা. হাফিজ ইকবাল কোর্সে রয়েছেন। তিনজন সংযুক্তিতে আছেন ঢাকায়। প্রয়োজনীয় ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা বস্তুত ভেঙে পড়েছে। লালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ পাপ্পু বলেন, উপজেলায় একটি মাত্র হাসপাতাল। তাতে প্রয়োজনীয় ডাক্তার না থাকায় এই অঞ্চলের জনগণ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম জানান, একজন মেডিকেল অফিসারের পক্ষে সেবা দেওয়া দুঃসাধ্য। সমস্যার বিষয়টা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরেজমিনে হাসপাতলে গিয়ে দেখা যায়, বেডে রোগী শুয়ে আছে অন্তত ৪০ জন। তাদের জন্য নেই কোনো ডাক্তার। চিকিৎসা নিতে আসা বালিতিতা গ্রামের শাহিনা খাতুন, মারিয়া, সাজদারসহ অনেকে জানান, এই হাসপাতালে শুধু একজন ডাক্তার আছেন। যিনি দিনে এক-দুইবার ভিজিট করেন। মাঝেমধ্যে এক জন নার্স এসে খোঁজখবর নেন। ডাক্তার না থাকার কারণে আমরা কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা পাচ্ছি না।

সর্বশেষ খবর