রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

সেখানে ওসি আসা যাওয়ার মিছিল!

আড়াই বছরে চারজন প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার চারজন ওসি প্রত্যাহার (ক্লোজড) হয়েছেন গত আড়াই বছরে। মাদকে সংশ্লিষ্টতা, অনিয়ম-দুর্নীতি ও দায়িত্ব অবহেলাসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ সুপার, রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় ও জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন ওসি হিসেবে যিনিই গৌরনদীতে পদায়ন হয়ে আসছেন তিনিই দুর্নাম নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে ওসিদের কাছে গৌরনদী মডেল থানা ‘আতঙ্কের থানা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সংশ্লিস্ট সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর গৌরনদী থানার ওসি হিসেবে যোগ দেন সাজ্জাদ হোসেন। মহাসড়কে যানজট নিরসনে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই তাকে জেলা পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা হয়। ওই বছরের ১০ আগস্ট গৌরনদী থানায় যোগদান করেন ওসি আলাউদ্দিন মিলন। মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ তাকে ক্লোজ করে বরিশাল ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল গৌরনদীতে ওসি হিসেবে আসেন ফিরোজ কবির। যোগদানের পর মাদকবিরোধী অভিযানের আড়ালে ঘুষবাণিজ্যসহ চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ফলে যোগদানের চার মাসের মাথায় ৩১ জুলাই ফিরোজ কবিরকে প্রত্যাহার করে সংযুক্ত করা হয় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে।

২০১৭ সালের ১ আগস্ট মনিরুল ইসলামকে গৌরনদী থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়। ছাত্রলীগ কর্মী সাকির গোমস্তা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেফতারের পর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি তাকে জেলা পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা হয়। আড়াই বছরে চার ওসি প্রত্যাহার প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (এসপি) বরিশালে যোগদানের আগে গৌরনদী থানার তিন ওসি কি কারণে ক্লোজড হয়েছেন তার জানা নেই’।

সর্বশেষ খবর