রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
‘অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত গাইড বই নিষিদ্ধ’

আড়াইহাজারে রমরমা ব্যবসা

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

আড়াইহাজারে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের কিছু অসাধু শিক্ষকের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা এ সব বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নোট বই মুদ্রণ, বাঁধাই, আমদানি, বিতরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ এবং আইন অমান্যকারীদের জেল-জরিমানার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম আবু তালেব বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব ধরনের নোট বা গাইড নিষিদ্ধ। যে কোনো নামেই হোক এ ধরনের গাইড বিক্রি বন্ধ করতে হবে। কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষক গাইড ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি প্রতিটি স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের থেকে লিখিত এনেছি, যাতে গাইড বই না পড়ান।’ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফেজা খাতুন বলেন, ‘আমরা নোট বা গাইড বই নিষিদ্ধ করে দিয়েছি। কোথাও যদি পাওয়া যায় সংশ্লিষ্টদের শোকজ করা হবে’। আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া খান বলেন, ‘মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অনেকগুলো গাইড জব্দ করা হয়েছে। কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। আড়াইহাজার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি লোকমান হোসেন জানান, ‘আমরা কোনো বইয়ের দোকানে বা শিক্ষার্থীকে গাইড কিনতে বাধ্য করিনি’।

জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা কিছু বইয়ের দোকান দ্বিতীয়-অষ্টম শ্রেণির নোট ও গাইড বইয়ে সয়লাব। এ সব দোকানে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড। একাধিক অভিভাবক জানান, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের জন্য স্কুলের স্যারের কথামতো গাইড বই কিনতে হয়েছে। দাম নিয়েছে ৭৫০ টাকা। সৃজনশীল ও অনুশীলনমূলক বইয়ের নামে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড কিনতে অভিভাবকদের বাধ্য করে মুনাফা লুটছে একটি চক্র। কয়েকজন বই দোকানি বলেন, ‘শিক্ষকরা বাধ্য করছেন বলেই আমরা বিক্রি করছি’। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষকরা জানান, কোনো শিক্ষার্থীকে গাইড কিনতে বাধ্য করা হয়নি।

সর্বশেষ খবর