শিরোনাম
শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাণীনগর রেলওয়ে ওভার ব্রিজটি যেন ‘মরণফাঁদ’

নওগাঁ প্রতিনিধি

রাণীনগর রেলওয়ে ওভার ব্রিজটি যেন ‘মরণফাঁদ’

রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনে ওভার ব্রিজ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

নওগাঁর রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনের ফুটওভার ব্রিজটি ‘মরণফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। রাতে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করতে গিয়ে ব্রিজটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। সর্বশেষ গত বুধবার ভোরে ওভারব্রিজটির সঙ্গে ধাক্কায় ট্রেনের চার যাত্রী প্রাণ হারানোর পর টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। ব্রিজটি উঁচু করাসহ সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এই আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়ন হবে, নাকি আরও প্রাণ ঝরবে? এই প্রশ্ন এলাকাবাসীর মনে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত তিন মাসে রাণীনগর রেলওয়ের এই ফুটওভার ব্রিজের ধাক্কায় ট্রেনের ছাদে থাকা পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেক। সান্তাহার রেলওয়ে কর্মকর্তা টিআই আব্দুস সোবহান জানান, রেললাইন থেকে ফুটওভার ব্রিজটির উচ্চতা ১৫ ফুট তিন ইঞ্চি। অপরদিকে ট্রেনের উচ্চতা ১৩ ফুট ছয় ইঞ্চি। ব্রিজটি অনেক আগের। যখন মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করতো খুব কম। এখন যাত্রী বাড়ায় অনেকে ছাদে ভ্রমণ করছেন। এ কারণে ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে হতাহতের ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটছে। দ্রুত ব্রিজের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে। রাণীনগরের ইউএনও সোনিয়া বিনতে তাবিব বলেন, ‘রাণীনগর রেলওয়ে ফুটওভার ব্রিজটি নিচু হওয়াই দুর্ঘটনার কারণ।’ পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা শওকত জামিল বলেন, ‘ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ অবৈধ। আমরা বরাবর যাত্রীদের ছাদে ভ্রমণে নিষেধ করি, কিন্তু তারা মানছেন না।

যেহেতু রাণীনগর রেলওয়ের ফুটওভার ব্রিজে ধাক্কা লেগে নিহতের ঘটনা ঘটছে তাই আমরা ভবিষ্যতে এর উচ্চতা বাড়াবো।’

জানা যায়, ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকারীরা নিম্নআয়ের মানুষ। তারা কর্মস্থলে যাওয়া বা বাড়ি ফেরার সময় টাকা ও সময় বাঁচানোর জন্য ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান-বিশেষ করে দুই ঈদ ও দীর্ঘ ছুটির সময় প্রতিটি ট্রেন ঢাকা থেকে আসে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে। সে সময় রাণীনগর ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাণহানির ঘটনা নিত্যনৈমতিক বিষয়।

 

সর্বশেষ খবর