কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আট বছর পরও শেষ হয়নি। অর্ধেক কাজ করে লাপাত্তা হয়ে গেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। অথচ কাজটি ১৮ মাসে শেষ করার কথা ছিল। আবার যেটুকু কাজ হয়েছে তা নিম্নমানের হওয়ায় ভবনে ফাটল ধরেছে। দেয়াল ভেদ করে গজিয়েছে গাছ। পরিত্যক্ত থাকায় সেখানে চলছে নানা অসামাজিক কাজ। স্থানীয়রা বঞ্চিত হচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবা থেকে। জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নতুন হাসপাতাল ভবন ও তিনটি কোয়ার্টার নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালের অক্টোবরে। বরাদ্দ ছিল পাঁচ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১০ সালের এপ্রিলে। অর্ধেকটা কাজ করে ঠিকাদার তিন কোটি ৬৮ লাখ টাকা তুলে নিয়ে আর কাজ করেননি। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল সাফী বলেন, পুরাতন ভবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। কোয়ার্টারগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় রোগী বেশি হওয়ায় ফ্লোরে থাকতে হয়। এলাকাবাসী ও হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, ভবনটি না হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকতে পারছেন না। পুরাতন ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নতুন ভবন নির্মিত না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই পুরাতন ভবনে থাকতে হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘হাসপাতালের ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজল বিল্ডার্সকে বহুবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে; কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেননি। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এলাকাবাসী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন বলে জানান তিনি।