টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে গণধর্ষণে স্কুলছাত্রী অন্তসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা শালিসে কয়েক ঘা জুতার আঘাত আর এক লাখ টাকা জরিমানা করে  ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার পরীক্ষা বাদ রেখে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে মেয়েটির গর্ভপাত ঘটাতে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়ারও খবর মিলেছে। গতকাল পাওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, ধনবাড়ি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের রূপশান্তি পশ্চিমপাড়ার এ ঘটনায় কাউন্সিলর জাকারিয়া বকল, স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মামুন, ধর্ষক আলামিনের বাবা মাহতাবসহ স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর মিলে ধর্ষক রফিকুল, জিয়াউল হক ও আল আমিন গংকে বাঁচাতে প্রহসনের এ বিচার করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নির্যাতিত মেয়েটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রূপশান্তি এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩০) স্কুলপড়ুয়া মেয়েটিকে (১৩) ফুসলিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। প্রতিবারই আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলার নাটক করে গ্রুপের অন্য সদস্যরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করত। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত সোমবার রাতে এ নিয়ে শালিসী বৈঠক বসে। ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন বলেন, ‘এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। বিষয়টি আমি শুনেছি।’ ধনবাড়ী থানার ওসি লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর জাকারিয়া ঘটনা মীমাংসার কথা অস্বীকার করেছেন।

এদিকে লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক কিশোরীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় প্রতিপক্ষ তিনটি বসত ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটসহ ওই কিশোরীর পরিবারের আরও চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে। গতকাল সকালে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ চর উভুতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম কিশোরী ও তার স্বজনরা জানান, স্থানীয় চর উভুতি গ্রামে সাহাবুদ্দিন গং ও মালেক মেম্বার গংয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গতকাল সকালে মালেক মেম্বারের  ছেলে সোহাগ ও তার ভাতিজা বাবুর নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন দলবদ্ধ হয়ে তাদের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাদের ৩টি বসত ঘর ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে ওই পরিবারের ৫জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে তারা। একই সঙ্গে ওই পরিবারের ১৬ বছরের কিশোরীকে তুলে নিয়ে বাবু ও সোহাগ নির্যাতন করে।