বুধবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

হাজারো জেলে পরিবারে দুর্দিন

নীলফামারীর অধিকাংশ জেলে নিবন্ধনের আওতায় আসেনি

নীলফামারী প্রতিনিধি

নদী-নালা, খাল-বিল প্রায় শুকিয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন নীলফামারীর ৩২ হাজার জেলে পরিবার। মাছ ধরতে না পারায় অর্থনৈতিক সংকটে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালানোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে তাদের। শুষ্ক মৌসুমে এ সব জেলের জন্য সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা না থাকায় দুচোখে অন্ধকার দেখছেন তারা। আন্তর্জাতিক নদী তিস্তা ছাড়াও বুড়ি তিস্তা, চারালকাটা, বুড়িখোড়া, যমুনেশ্বরী, খড়খড়িয়া, দেওনাই, খেড়ুয়া, শালকি, নাউতারা, কুমলাই, ধুম, ধাইজান, চিকলি, আউলিয়াখানাসহ জেলার ২২টি নদ-নদী এখন প্রায় পানিশূন্য। শুধু নদী নয়, শুকিয়ে গেছে খাল-বিলও। ফলে মাছ ধরতে না পেরে বেকায়দায় পড়েছেন জেলেরা। ধারদেনা করে কোনোভাবে চলছে সংসার। কারো কারো জেলে পরিচয়পত্র থাকলেও কোন সুযোগ-সুবিধা পাননি। অধিকাংশ জেলে নিবন্ধনের আওতায়ই আসেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। ডিমলা উপজেলার ছোটখাতা গ্রামের ছাইদুল ইসলাম জানান, নদীতে মাছ ধরে তা বিক্রির টাকায় সংসার চালাতো। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় এখন নদীতে মাছও নেই। জেলা মৎস্য অফিস জানায়, নীলফামারীতে প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার মেট্রিক টন মাছের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ২০ হাজার মেট্রিক টন। সরকারি হিসাবে ঘাটতি থাকছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন মাছ। জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বাদল জানান, জেলে পরিবারগুলোতে এখন দুর্দিন চলছে। তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য দ্রুত সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ দরকার। নীলফামারী মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, শুষ্ক মৌসুমে প্রায় পানিশূন্য হয়ে যায় নদ-নদী, খাল-বিল। এ কারণে আর্থিক দীনতায় পড়েন মৎস্যজীবী পরিবারগুলো।

সর্বশেষ খবর