বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভোলা খালের নাব্যতা ফেরাতে উদ্যোগ

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলা শহরের ভোলাখালসহ ৫টি খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ভোলা পৌরসভা বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে খালগুলো খননের কাজ চলছে। সোমবার পৌরভবনের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে পৌরমেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এসব কথা বলেন। পৌরমেয়র জানান, স্বাভাবিক পানি প্রবাহ না থাকায় এবং দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনা ফেলায় ভোলাখালটি পানিশূন্য হয়ে আছে। এ অবস্থায় গত ২৯ এপ্রিল মধ্যরাতে আগুন লেগে শহরের চকবাজার, মনিহারিপট্টি এবং খালপাড় রোডের অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে শতাধিক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। মেয়র বলেন, খালপাড়ে আগুন লেগেছে কিন্তু খালে ময়লা আবর্জনা আর পলিথিন থাকায় পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। একটি কুচক্রি মহল খালের নাব্যতার সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে যুক্ত করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। মেয়র জানান, সাড়ে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ভোলা খালের মধ্যবর্তী সাড়ে চার কিলোমিটার পৌরসভার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বাকি অংশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে। পৌরসভার অধীনে ভোলা খালের যে অংশটুকু রয়েছে তার রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য জলবায়ু ফান্ডের একটি প্রকল্পের আওতায় ৫ কোটি টাকার কাজ চলমান। খালটির নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে অপর একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এ ছাড়া ভোলা পৌরসভার মধ্যে আরও চারটি খাল পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যে এসব কাজ শেষ হলে ভোলা পৌরসভার আওতায় থাকা সব খাল নাব্যতা ফিরে পাবে। আর তখন আগুন লাগার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা সহজতর হবে। এ সময় মেয়র ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনা খরচে দোকানের ভবন নির্মাণের জন্য প্ল্যান পাস ও অনুমোদন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি মেয়র বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা ইচ্ছা করলে পৌরসভার সঙ্গে অংশীদারীর ভিত্তিতে ভবন নির্মাণ করতে পারবেন। সংবাদ সম্মেলনে ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজুসহ কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর