মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলা, ক্লাস পরীক্ষা বর্জন

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাসে হামলার প্রতিবাদে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এর আগে রবিবার হামলার পরে রাত সাড়ে নয়টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আলোচনা হলেও সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মামলার কোনো সিদ্ধান্ত  জানা যায়নি।

সূত্র জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাসে হামলা চালায় কুমিল্লা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং মহানগর ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। হামলার সময় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জসহ রাবার বুলেট ও টিয়াল সেল নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় প্রায় ৪০ জন আহত হন।

দুপুরে প্রশাসনিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কুমিলস্না জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন ও সদর দড়্গিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরম্নল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের পড়্গে সদর দড়্গিণ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রম্নপালী মন্ডলসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা আলোচনায় বসেন। কুমিলস্না পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, কুমিলস্না সরকারি কলেজ কর্তৃপড়্গ ও সাধারণ শিড়্গার্থীদের নিয়ে মঙ্গলবার একটি আলোচনা হওয়ার কথা জানা যায়।

এদিকে কোন বিভাগের শিড়্গার্থীরা সোমবার ক্লাসে যাননি। ক্লাস ও পরীড়্গা বর্জন করে অপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করায় অনুষ্ঠিত হয়নি অনেকগুলো চূড়ান্ত্ম পরীড়্গা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীড়্গা নিয়ন্ত্রক নুরম্নল করিম চৌধুরী জানান, সোমবার একটি স্নাতকোত্তর ও ছয়টি স্নাতকের চূড়ান্ত্ম পরীড়্গা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বিকাল চারটা পর্যন্ত্ম দুটি বিভাগ তাদের পরীড়্গা স্থগিতের কথা জানিয়েছে।

আন্দোলনরত শিড়্গার্থী তানভীর আহমেদ ও মাযহারম্নল ইসলাম হানিফ সাংবাদিকদের জানান, তারা সাধারণ শিড়্গার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্ত্মিত। পুলিশ প্রশাসন তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বসত্ম করেছে। তবে মঙ্গলবারের মধ্যে যথাযথ পদড়্গেপ নেওয়া না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিড়্গার্থীরা কঠোর আন্দোলন করবেন বলেও জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশের সাথে আমাদের আরো একটি আলোচনা সভা হবে। এরপর মামলা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত্ম হবে।’

সর্বশেষ খবর