রবিবার, ২০ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

সময়ের আগেই বাজে ছুটির ঘণ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

সময়ের আগেই বাজে ছুটির ঘণ্টা

বগুড়ার ধুনটে স্কুলমাঠে হাট —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়ার ধুনটের নাটাবাড়ীতে স্কুলমাঠে নিয়মিত বসছে হাট। এতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। হাটের দিনে স্কুলে ঠিকভাবে পাঠদান সম্ভব হয় না বলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাজে ছুটির ঘণ্টা।

ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের নাটাবাড়ী গ্রামে ১৯১৮ সালে ৩৩ শতক জমিতে গড়ে তোলা হয় নাটাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৭২ সালে এক একর ৮৭ শতক জায়গায় স্থাপিত হয় নাটাবাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয় দুটির এক পাশে আট শতক জমি নাটাবাড়ী হাটের নামে প্রতি বছর ইজারা দেওয়া হয়। এ বছর হাটটি দ্বিতীয় দফায় ইজারা নিয়েছেন জহুরুল ইসলাম, তার ভাই আব্দুল বারিক, নজরুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম। তারা নির্ধারিত জায়গায় হাট না বসিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়েছেন। প্রতি রবিবার ও বৃহিস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হয় হাটের কেনা-বেচা। দোকানিরা বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে ও শ্রেণিকক্ষের সামনে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। হাটের দুই দিনে স্কুলমাঠের অবস্থা করুণ হয়ে যায়। বন্ধ থাকে খেলাধুলাও।

প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, হাটের জন্য নির্ধারিত জায়গা থাকলেও ইজারাদার বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়েছেন। এ কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সমস্যা, পাঠদানে বিঘ্ন, খেলাধুলা বন্ধসহ নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের হৈ-চৈর কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা আগেই বাড়ি চলে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে এক ঘণ্টা আগেই বিদ্যালয় ছুটি দিতে হয়।

ইজারাদার জহুরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে হাটের নির্ধারিত জায়গা থাকলেও রাস্তার কারণে সেখানে হাট বসানো সম্ভব হয় না। তাই আগে থেকেই বিদ্যালয়ের জায়গায় হাট বসছে। এ জন্য বিদ্যালয়ে কিছু অনুদান দেওয়া হয়। ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিন্নাহ্ জানান, বিদ্যালয়ের জায়গায় হাট বসানোর কোনো নিয়ম নাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘বিদ্যালয়মাঠে হাট বসিয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর