মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

তবুও ‘মৃত্যুর সঙ্গে’ বসবাস

রাঙামাটি প্রতিনিধি

তবুও ‘মৃত্যুর সঙ্গে’ বসবাস

রাঙামাটিতে পাহাড়ের পাদদেশে বসতবাড়ি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাঙামাটিতে আবারও পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন হাজার হাজার মানুষ। সম্প্রতি কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট পাহাড়ের গা থেকে আচড়ে পড়ছে পাথুরে মাটি। শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে এরই মধ্যে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন। রাঙামাটি পৌরসভার তথ্যমতে, শুধু রাঙামাটি শহরেই এক লাখ ২৫ হাজার লোক পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হচ্ছে— শিমুলতলী, নতুন পাড়া, মনতলা, রাঙ্গাপানি, রির্জাভ, এসপি অফিস সংলগ্ন এলাকা, শহীদ আবদুুল আলী একাডেমী সংলগ্ন ঢাল, পুলিশ লাইন সংলগ্ন ঢাল, স্বর্ণটিলা পাহাড়ের ঢাল, রাজমণিপাড়া পাহাড়ের ঢাল, রেডিও স্টেশনের পাশে শিমুলতলী পাহাড়ের ঢাল, লোকনাথ মন্দির পাহাড়ের ঢাল, আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের ঢাল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সংলগ্ন পাহাড়ের ঢাল, চম্পক নগর পাহাড়ের ঢাল, পাবলিক হেলথ পাহাড়ের ঢাল, আমানতবাগ পাহাড়ের ঢাল, মুজিবনগর পাহাড়ের ঢাল। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে শহর এলাকাসহ গোটা জেলায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আতঙ্কগ্রস্ত অনেকে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছে। রাঙামাটি পৌরমেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, এখনো বর্ষা মৌসুম আসেনি। এর আগেই শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে পাহাড় ধসের ঘটনা। যারা এখনো পাহাড়ের নিচে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে তাদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পৌরসভার পক্ষ থেকে বার বার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে। মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া পাহাড়ধসের ক্ষয়ক্ষতি কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ শুরু করেছি। পাহাড় ধসে প্রাণহানি ও ক্ষতি এড়াতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সভাও করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে সবচেয়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয় গত বছরের ১৩ জুন। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১২০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১০ উপজেলার ১৮ হাজার ৫৫৮ পরিবার। শহর এলকার ১৪৫টি স্থানে রাস্তা দেবে ও মাটির স্তূপ জমে সারা দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ।

সর্বশেষ খবর