বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

মধুমতি ভাঙছে তো ভাঙছেই

ফরিদপুর প্রতিনিধি

মধুমতি ভাঙছে তো ভাঙছেই

মধুমতির ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী-রউফনগর সড়কের গন্ধখালী পূর্বপাড়ায় মধুমতির নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে সড়কের একাংশ নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে দর্শনার্থী যাতায়ত প্রায় বন্ধ। ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী পাঁচ গ্রামের মানুষও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, মধুখালী উপজেলায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কামারখালী বাজার থেকে রউফ নগর বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে গন্ধখালী, রউফনগর, নাওড়াপাড়া, দয়ারামপুর, জারজারনগর, চর গয়াসপুরসহ কয়েক গ্রামের মানুষ। সড়কের গন্ধখালী পূর্বপাড়া এলাকায় এবং রউফনগর গ্রামে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি যাদুঘর থেকে ৫০০ মিটার দূরেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, গন্ধখালী পূর্বপাড়া এলাকায় সড়কের ত্রিশ ফুট প্রস্থ ও তিনশ ফুট দৈর্ঘ্যের এলাকা নদীতে চলে গেছে। ওই এলাকার অনেকে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর ধরে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বহু বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে আরও ১৭টি পরিবারের বাড়িঘর। একই অবস্থা রউফনগর গ্রামের।

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামউদ্দীন বলেন, ‘দুই বছর আগে ৩০ শতাংশ জমির উপর এ বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা শতাধিক। নদী ভাঙনের কারণে আমরা আতঙ্কে আছি। জানি না ভাগ্যে কী আছে।’ স্থানীয় কামারখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বিশ্বাস বাবু বলেন, ‘কামারখালী-রউফনগর সড়ক দিয়ে যাতায়াত একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলার সমন্বয় সভায়ও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন দফতর ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’ মধুখালীর ইউএনও মোস্তফা মনোয়ার জানান উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে কয়েকবার সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু প্রবল বর্ষণের ফলে সড়কটি এখন আগের অবস্থায় পরিণত হয়েছে। বাঁধ নির্মাণে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ শুরু করবে বলে শুনেছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর