বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

কর্মহীন ১৯ হাজার মৎস্যজীবী

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

কর্মহীন ১৯ হাজার মৎস্যজীবী

জেলে পরিবারের শিশু

রাঙামাটিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সাড়ে ১৯ হাজার মৎস্যজীবী। কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে ১ মে মাছ শিকার ও আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে বেকার তারা। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় জেলে ও শ্রমিকসহ মাছের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোতে দেখা দিয়েছে আর্থিক সংকট। যদিও রাঙামাটি জেলা প্রশাসন বলছে, কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে সঙ্গে জড়িত দরিদ্র জেলে পরিবারের জন্য ৩৮৯ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। শিগগিরই জেলেদের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে। জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদের মাছের ওপর নির্ভরশীল জেলে, শ্রমিক ও ব্যবসায়ী সংখ্যা এক লাখেরও অধিক। এর মধ্যে জেলে পরিবার রয়েছে ১৯ হাজার ৪৭৩টি। এ সব পরিবার সরকারিভাবে নিবন্ধিত। বিগত বছরগুলোতে হ্রদে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকারিভাবে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে এ সব জেলের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হতো। ২০১৭ সালে পাহাড় ধসের কারণে তাদের দেওয়া হয়নি সহায়তা। চলতি বছরও এক মাস পার হলেও এখনো সরকারিভাবে জেলেদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। মানবেতর জীবনযাপনের পাশাপাশি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জেলে পরিবারে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখাও। নিষেধাজ্ঞার বাকি দুই মাস কিভাবে কাটবে এ নিয়ে চিন্তার শেষ নেই তাদের। কাপ্তাই হ্রদের মৎস্যজীবী বেবি দাস জানান, হ্রদে মাছ শিকার করে চলতো জীবন। এখন নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা হ্রদে মাছ ধরতে পারছেন না। এক মাস ধরে বেকার। আরও বাকি আছে দুই মাস। কি করে চলবে সংসার। একই অভিযোগ অন্য জেলেদেরও। রাঙামাটি শহরের পাশে কাপ্তাই হ্রদের একটি দ্বীপের নাম জালিয়া পাড়া। এ দ্বীপে বসবাস করে ২৮০ জেলে পরিবার। একটা সময় হ্রদে জাল ফেলে নৌকা ভাসিয়ে শুরু হতো তাদের দিন। সন্ধ্যায় মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরতেন। মাছ বিক্রি করে আনন্দ কেটে যেত তাদের দিন। কিন্তু এখন এ দ্বীপের চিত্র ভিন্ন। অভাব যেন তাদের পিছু ছাড়ে না।

সর্বশেষ খবর