শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

গ্রাহক, আয় বেড়েছে বাড়েনি সেবার মান

শ্রীমঙ্গল পোস্ট অফিস

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে শ্রেণি পরিবর্তন হয়নি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা পোস্ট অফিসের। এই দীর্ঘ সময়ে এই শাখায় গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে পোস্ট অফিসের আয়। বাড়েনি শুধু সেবার মান। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহদের। দৈনন্দিন কার্যক্রমেও সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘসূত্রতা।

জানা যায়, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পোস্ট অফিসটি শুরু থেকেই হবিগঞ্চ বিভাগীয় অফিসের অধীনে। আর গ্রাহকদের সব কাগজপত্র অনুমোদন করা হয় মৌলভীবাজার হেড পোস্ট অফিস থেকে। আগে শ্রীমঙ্গল পোস্ট অফিসে শুধু চিঠি আদান-প্রদান, বেতার লাইসেন্স, এফডি, এমবি ট্রাস ও মনি অর্ডার করা হতো। বর্তমানে ইএমটিএস, পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস সঞ্চয়পত্র, পেনশন সঞ্চয়পত্র, সাধারণ হিসাব, প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র, বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও মেয়াদী হিসাব চালু রয়েছে। প্রতি মাসে এই পোস্ট অফিসে বিভিন্ন হিসাবে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা জমা হলেও আড়াই লাখের বেশি ব্যালেন্স ক্যাশ টাকা এই শাখায় রাখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনের জমাকৃত অতিরিক্ত ব্যালেন্স ক্যাশ পাঠিয়ে দিতে হয় মৌলভীবাজার হেড অফিসে। তাই আড়াই লাখ টাকার উপরে এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ভাঙতে বা মুনাফা তুলতে গ্রাহকদের ১০-১৫ দিন অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া পরিবহন ও লোকবলের অভাবে সঠিক সময়ে গ্রহকের চিঠিপত্রও বিলি করা যাচ্ছে না।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম সামছুদ্দিন বলেন, ‘শ্রেণি পরিবর্তন না হওয়ায় মৌলভীবাজার হেড অফিসের মাধ্যমে সব কাজকর্ম করতে হচ্ছে। এতে গ্রাহকরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। শ্রেণি পরিবর্তন হলে সেবার মান বাড়বে।’

হবিগঞ্জ বিভাগীয় ডাকঘর প্রধান সুজিত চক্রবর্তী জানান, এই পোস্ট অফিসকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার জন্য চট্টগ্রাম সার্কেল অফিসে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল বলেন, ‘এই মুহূর্তে উপজেলা পোস্ট অফিসগুলোর শ্রেণি পরিবর্তনের ভাবনা আমাদের নেই। তবে এ গ্রেড বি গ্রেড বলে কিছু থাকবে না। প্রথম ধাপে আমরা জেলা পোস্ট অফিসগুলোকে ক্লাস ওয়ান পোস্ট অফিস করার চেষ্টা নিচ্ছি। দ্বিতীয় ধাপে উপজেলাগুলোও হেড অফিস হয়ে যাবে।’

সর্বশেষ খবর