বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রায় নানা উদ্যোগ

প্রতিদিন ডেস্ক

নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রায় নানা উদ্যোগ

আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঈদের আগে ও পরে তিন দিন করে বন্ধ থাকবে ট্রাক। পুরো পাটুরিয়া ঘাট থাকবে সিসি ক্যামেরানিয়ন্ত্রিত। যাত্রীরা যাতে ছিনতাই, অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে না পড়ে সে জন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গোয়েন্দা তৎপরতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও টাঙ্গাইল প্রতিনিধির পাঠানো খবর— মানিকগঞ্জ : পাটুরিয়া ফেরি ঘাটসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ঈদের আগে ও পরের ৩ দিন করে এ মহাসড়কে বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক। ছোট গাড়ির জন্য আলাদা লেনে ৫ নম্বর ফেরি ঘাট দিয়ে পারাপার করা হবে। পাটুরিয়া ঘাট সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সোমবার আলোচনা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম। এ সময় হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মুন্সীগঞ্জ : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে গত সোমবার দুপুর থেকে শিমুলিয়া ঘাটে মোতায়ন করা হয়েছে পুলিশের পাঁচ শতাধিক সদস্য। ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট ছাড়াও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ৩৪টি পয়েন্টে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ সদস্যরা। নিজ নিজ দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে এ দিন শিমুলিয়া ঘাটে নির্মিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম প্রাঙ্গণে ব্রিফিং করেন মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। এ সময় তিনি বলেন, এই দায়িত্ব পালনকে ইবাদতের মতো মনে করতে হবে। ঘরমুখো মানুষ যাতে কোনো প্রকার হয়রানি না হয় সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পরে যাত্রী চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

টাঙ্গাইল : ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে আট শতাধিক পুলিশ ও ১৯০ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা যাতে ছিনতাই, অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়তে না হয় সে জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের এসপি সঞ্জিত কুমার সোমবার পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এসপি বলেন, চার লেনের সড়ক ৮০ ভাগ খুলে দেওয়া হয়েছে। ৬৫ কিলোমিটার মহাসড়ককে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চারটি সেক্টরে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোবাইল কোর্ট থাকবে। গঠন করা হয়েছে হোন্ডা মোবাইল টিম। এছাড়া তিনটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর