আজমিরীগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ডাকা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে আল-আমিন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে। তবে প্রধান দুই আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক ভূঁইয়াকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিয়ে এলেও তারা এখন পুলিশ হেফাজতে নেই। তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি জানার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি জানান, আল-আমিন নিহতের ঘটনায় ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের ছোট ভাই আলাউদ্দিন এ মামলায় করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দুর্গাদাস। গ্রেফতার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে গতকাল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের শিগগিরই রিমান্ড চেয়ে আবেদন করবে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে গত সোমবার বর্ধিত সভায় হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান সাবেক চেয়ারম্যান আতর আলীর ছেলে আল-আমিন। ২৫ জুলাই উপনির্বাচনের তারিখ ধার্য করা হয়।
বর্ধিত সভার সভাপতি মিজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া সভায় বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিনজনের নাম চাওয়া হয়েছে। যেহেতু আগ্রহী প্রার্থী চারজন তাই সবার নামই জেলায় পাঠানো উচিত। এ কথা শোনার পর সেখানে শুরু হয় হট্টগোল।