শিরোনাম
রবিবার, ২৪ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

পরিবহনে সীমাহীন নৈরাজ্য

সিটপ্রতি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা বাড়তি আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া ও নেত্রকোনা প্রতিনিধি

বগুড়া থেকে ঢাকাসহ সব রুটের পরিবহন ভাড়া নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। এবার ঈদুল ফিতরের আগে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানও পরিচালনা করছে। অভিযোগ আছে, প্রতি বছর দুই ঈদের সময় পরিবহন সেক্টরে যাত্রীদের কাছ থেকে সিটপ্রতি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা বাড়তি আদায় করা হয়। বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার ঘুরে জানা যায়, বগুড়া থেকে ঢাকা রুটের নন-এসি বাসের সিট ভাড়া ১০০ থেকে ২০০ এবং এসি বাসের ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বগুড়া থেকে ঢাকাগামী এসআর বাসের ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে আদায় করা হচ্ছে ৪৫০ টাকা করে। এ ছাড়া শাহ ফতেহ আলী, শ্যামলী, হানিফসহ অন্য পরিবহনও বাড়তি ভাড়া আদায় করছে ঈদ ঘিরে। যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিটে ৪৫০ টাকা লিখলেও কিছু বাস কাউন্টার নিচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। আর এসি বাসের টিকিট ঈদের আগে ৭০০ টাকা থাকলেও ঈদের পর নিচ্ছে ১২০০ টাকা। হুন্দাই বাসের টিকিট ঈদের আগে ছিল ১০০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা। যাত্রীরা বলছেন, বাসের ও সেবার মান বাড়েনি অথচ বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তারা আরও অভিযোগ করেন, কাউন্টারে গেলে টিকিট পাওয়া যায় না। আবার বাড়তি টাকা দিলে টিকিট মেলে। ঢাকার মিরপুরের একটি গার্মেন্টের শ্রমিক আলতাফ হোসেন জানান, কাউন্টারে কোনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। আবার টিকিট দিলেও গায়ে লিখছে ৪৫০ টাকা আর দাম নিচ্ছে ৫০০। দোকান কর্মী শরিফুল ইসলাম জানান, কাউন্টারে গিয়ে কোনো টিকিট চেয়ে পাননি। পরে ৬০০ টাকা দিয়ে ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি টিকিট কেটেছেন। মানিক এক্সপ্রেসের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের কাউন্টারে ঢাকাগামী টিকিট রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এসি বাসের চাহিদা বেড়েছে। টিকিটের দাম কিছু বাড়ানো হয়েছে। ২৬ জুন থেকে আগের দামেই টিকিট বিক্রি হবে। এদিকে নেত্রকোনায় বাসে-ট্রেনে চলছে টিকিট নিয়ে নৈরাজ্য। ঈদের পর থেকে নেত্রকোনা থেকে ঢাকাগামী প্রতিটি বাসের টিকিটের দাম রাখা হচ্ছে দ্বিগুন থেকে তিন গুন। অসহায় যাত্রীরা উপায়ন্তর না পেয়ে টিকিট নিচ্ছেন, কারণ যে কোন মূল্যে ফিরতে হবে গন্তব্যে। ট্রেনের টিকিটের একই অবস্থা। পূর্বধলার জারিয়া স্টেশন থেকে ঢাকাগামী বলাকা কমিউটার ট্রেনে ৮৫ টাকার টিকিট যাত্রীরা ৩০০ থেকে শুরু করে ৬০০, ৭০০ টাকায় কিনছেন। এর পর আসন না পেয়ে যারা ছাদে উঠছেন তাদের দিতে হচ্ছে মইয়ের ভাড়াও। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, প্রতি ঈদেই বাড়ি আসা-যাওয়ার সময় এমন ভোগন্তি সইতে হয়। বহু বছর ধরে এভাবেই চলছে। কোন প্রতিকার নেই। দেখার যেন কেউ নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর