শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভাঙছে যমুনা কাঁদছে মানুষ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

ভাঙছে যমুনা কাঁদছে মানুষ

যমুনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যুমনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ব্রা?ম্মণ গ্রাম থেকে পাঁচিল পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় ছয় গ্রামের সহস্রাধিক বসতভিটা ও শত শত হেক্টর জমি বিলীন হয়ে গেছে। নিস্ব হয়ে পড়ছে বহু পবিবার। স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এনায়েতপুর থানা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।  পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ভাষ্য, এক মাস আগে ভাঙনরোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে পাঠালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো অনুমোদন দেয়নি। যে কারণে তারা ভাঙন দেখা ছাড়া কিছু করতে পারছে না। অন্যদিকে, কাজিপুর উপজেলার মনসুরনগর, চরগিরিশ, খাসরাজবাড়ী, তেকানী, নাটুয়ারপাড়া ও নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের জামিরতা-ভাটপাড়া নদী তীররক্ষা বাঁধ ধসে ভাঙন শুরু হওয়ায় হাজার হাজার পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। জানা যায়, প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পশ্চিম তীরবর্তী এনায়েতপুরের ছয় কিলোমিটার জুড়ে শুরু হয় ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-ফসলি জমি ও গাছপালা। বাস্তুহারা হয়ে পড়ছেন মানুষ। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটছে অনেকের। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদীতীরের বাসিন্দাদের। ব্রাম্মণ গ্রামের তপা ফকির জানান, মাত্র দুই বছর আগে জমি, বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। তখন এক কিলোমিটার পিছনে এসে নতুন বাড়ি নির্মাণ করেছিলাম। সেটিও বিলীন হয়ে গেল। এখন রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি।

ক্ষতিগ্রস্ত জাকারিয়া, তাহিরুল, আলম ও ছামাদ জানান, ‘গত বছর পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এলাকা পরিদর্শন করে তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তা আশ্বাস থেকেই গেলো, আর আমাদের বসতভিটা চলে গেল নদীতে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহবার আলী বলেন, ‘ঈদের কয়েকদিন আগ থেকে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষ এবার ঈদ আনন্দ থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। ভাঙনের ভয়াবহতা এতো বেশি যে প্রতিদিনই কোনো না কোন বাড়ি, স্থাপনা নদীতে চলে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর