বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

খানাখন্দে ভরা মহাসড়ক

কুমিল্লা প্রতিনিধি

খানাখন্দে ভরা মহাসড়ক

কুমিল্লা-নোয়াখালী ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক জুড়ে পিচ, ইট-পাথর উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দেখায় মহাসড়ক না পুকুর তা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। গত দেড় বছর ধরে মহাসড়ক দুটির বেহাল দশা বিরাজ করছে। এতে পরিবহন মালিক, স্টাফ ও যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। বাড়ছে যানজট এবং দুর্ঘটনা। মাঝে মাঝে ইট ফেলা হলেও বৃষ্টিতে তা সরে গিয়ে আবার গর্ত হচ্ছে।

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৪৫ কিলোমিটারের অধিকাংশই খানাখন্দে ভরা। এ সড়ক দিয়ে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণ অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর এবং কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে থাকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মাহসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি পর্যন্ত রাস্তার অধিকাংশ অংশজুড়েই ছোট-বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে কুমিল্লা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড তেলের পাম্পের সামনের অংশ, বাগমারা বাজার, আলীশ্বর বাজার, লাকসাম অংশে লাকসাম বাইপাস, মিশ্রী, নশরতপুর, রেলওয়ে জংশন, ছিলোনিয়া, ভাটিয়াভিটা, চন্দনা, খিলাবাজার, নাথেরপেটুয়া বাজার, বিপুলাসার বাজার এবং সোনাইমুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় সবচেয়ে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এর মধ্যে সামান্য বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। গর্তগুলো বড় হওয়ায় এবং পিচ ঢালাই উঠে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি আটকে বড় ধরনের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এদিকে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বেশি বেহাল কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সফুরা থেকে মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ গোমতী ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিমি সড়ক।

কুমিল্লা জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। এতে পরিবহন মালিক এবং যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। দ্রুত পরিবহন নষ্ট হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার জানান, কুমিল্লা- নোয়াখালী ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হলে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করতে পারব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর