মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

যৌবন ফিরছে তিতাসের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

যৌবন ফিরছে তিতাসের

চলছে ভরাট হয়ে যাওয়া তিতাস নদীর খনন কাজ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩০ লাখ মানুষের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে তিতাস নদী। ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর হৃদয়ের স্পন্দনের সঙ্গে তুলনা করা হয় একে। এ নদীই তিতাসপাড়ের মালুপাড়ার জেলেদের জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। অদ্বৈত মল্লবর্মণ তার ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসে বর্ণনা করেছেন প্রমত্তা তিতাসের। কালের আবর্তে নাব্যতা হারিয়ে মেঘনা কন্যাখ্যাত তিতাস হারাতে বসেছিল তার সোনালি অতীত। দখল আর দূষণে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ছে নদীর স্বাভাবিক স্রোতধারা। অবশেষে তিতাস নদী খনন করে হারানো যৌবন ও গৌরব ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ নদী খননের জন্য ১৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। খনন কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী তিতাস খননের দায়িত্বে রয়েছে। শুধু তিতাস নদীই নয়, খনন করা হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাগলা নদী ও এন্ডারসন খালও। গত শুক্রবার তিতাস নদীর নাসিরনগর উপজেলার ছয় কিলোমিটার অংশের খনন কাজ উদ্বোধন করেন স্থানীয় এমপি বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। নাসিরনগর উপজেলার নরহা গ্রামের তিতাসপাড়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, ‘তিতাস শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য নয় এটি সারা দেশেই বিখ্যাত। খনন কাজ শেষ হলে নদীটি যেমন ফিরে পাবে তার স্বাভাবিক স্রোতধারা, তেমনি স্থানীয়দের সেচের সুযোগ-সুবিধা তৈরি হবে।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীনুজ্জামান জানান, ২০২০ সালের এপ্রিলে তিতাস নদীর খনন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। তিতাসের সঙ্গে পাগলা নদী ও এন্ডারসন খালও খনন করা হচ্ছে। এর মধ্যে তিতাস নদীর ৯০ দশমিক ১৫ কিলোমিটার, পাগলা নদীর ৯ কিলোমিটার এবং এন্ডারসন খালের ৩ দশমিক ৬০ কিলোমিটার অংশ খনন করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর