মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

হুমকিতে টাঙ্গাইল শহর রক্ষাবাঁধ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

হুমকিতে টাঙ্গাইল শহর রক্ষাবাঁধ

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দায় ধসে পড়া বাঁধ

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রানাগাছা এলাকায় ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষাবাঁধ। গত দুই দিনে কবরস্থান ও কয়েকটি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যে কোনো সময় রক্ষাবাঁধ ভেঙে শহরে পানি ঢুকতে পারে— এমন শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুকনো মৌসুমে বাংলা ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাংলা ড্রেজারের বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও তারা আমলে নেননি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রানাগাছাবাসী। এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুরক্ষা গাইড বাঁধ এলাকায় আবারও দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১০০ মিটার অংশ ধসে গেছে। নদীর পেটে চলে গেছে ১০টি বসতভিটা। গত বছরের ভাঙনে দ্বিতীয় সেতুরক্ষা বাঁধটি ধসে যাওয়ায় এখন ঝুঁকির মুখে রয়েছে প্রথম রক্ষাবাঁধটি। ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। রানাগাছা এলাকার তুলা মিয়া জানান, গত দুই দিনে শহর রক্ষাবাঁধের অর্ধেকের বেশি নদীগর্ভে চলে গেছে। বাঁধের বাকি অংশেও ফাটল দেখা দিয়েছে। অপর দিকে সদর উপজেলার চরপৌলী, রাঙ্গাচিড়া, খাসকুকুয়া এলাকায় যমুনার ভাঙনে বিলীন হয়েছে ৩০টি বসতভিটা। এ ছাড়া নদীতে চলে গেছে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মসজিদ ও চরপৌলী হাট। এসব এলাকায় ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে শত শত একর ফসলি জমি-ঘরবাড়ি। চরপৌলী এলাকার জেবুন্নেছা বলেন, ‘তিন বছর ধরে অন্যের জমিতে ঘর তৈরি করে থাকছি। এবার যমুনা তার ঘরের পেছনে পর্যন্ত এসেছে। এখন আর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।’ তার দাবি, যমুনার ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ীভাবে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হোক। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, ইতিমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকাসহ শহর রক্ষাবাঁধ পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর