অমাবস্যা জোর প্রভাবে পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর জোয়ারের পানি পাঁচ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে পাথরঘাটার উপজেলার অনেক স্থানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামে রিংবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে মাছের ঘেরসহ ৪০০ ঘরবাড়ি। মারা গেছে গবাদি পশুও। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনো পানিবন্দী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাগরে স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানিতে দীর্ঘদিনের পুরানো বাঁধটি ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। অনেক পরিবারের আসবাবপত্রসহ গরু, ছাগল ও হাস-মুরগী ভেসে গেছে। পাথরঘাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বলেন, বাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেকের ঘরে চুলা জ্বালানোর মতো অবস্থা নেই। কারও কারও দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে। পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জানান, ভাটায় পানি কমলেই রিংবাঁধটি মেরামত করা হবে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।