লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর তিনটি স্পটে বড় বড় গাছের খুঁটি স্থাপন করে তাতে জাল বেঁধে অবৈধভাবে চলছে মাছ শিকার। এতে সাধারণ জেলেরা নদীতে মাছ ধরা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিঘ্ন ঘটছে নৌযান চলাচলে। অভিযোগ আছে, নদীতে মাইলের পর মাইল এভাবে খুঁটি স্থাপন করা হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ বা মৎস্য বিভাগ। যদিও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, নদীতে খুঁটে গেড়ে মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর মেঘা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীর তিন স্থানে মাইলকে মাইল গাছের শত শত খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। খুুঁটিতে নিষিদ্ধ জাল বেঁধে জোয়ার-ভাটার মাঝামাঝি সময়ে মাছ শিকার করেছে একটি চক্র। মাছ ধরার পর তা সংরক্ষণের জন্য নদীর তীরে খাস জমিতে বেআনিভাবে নির্মাণ করেছে টং ঘর। ওই সব ঘরকে আবার আড়ৎ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাঁচ বছর ধরে এভাবে অবৈধ ব্যবসা করছে চক্রটি। এখানে প্রতি বছর প্রায় ২০ কোটি টাকার মাছ বেচা কেনা হয়। স্থানীয়রা জানান, চররমনী ইউপি মেম্বার শাহ জাহান এবং ভোলার রামদাসপুর ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক জেলে-প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধ এ কাজে জড়িত। কোস্ট গার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হাবিবুর রহমান জানান, খুঁটি জালের অবৈধ মাছ শিকারে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সম্প্রতি ২০ হাজার মিটার জাল ওই স্থান থেকে আটক করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খুঁটি উঠানো সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গত সোমবার নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী থেকে খুঁটি ও নদী তীরে গড়ে উঠা টং ঘর সরানোর নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, অভিযান অব্যাহত থাকবে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্যাহ জানান, খুঁটি জালে ছোটবড় সব ধরনের মাছ আটকা পড়ে। এটি অপসারণ করতে পারলে মাছ অবাধে বিচরণ করতে পারবে। ইলিশ উৎপাদনও বাড়বে।