রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

সব প্রকল্পেই লুটপাট!

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

টেস্ট রিলিফ, সোলার প্যানেল, কাবিটাসহ সব প্রকল্পেই লুটপাট হয়েছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলায়। লোপাট হয়েছে মসজিদ, মন্দির, শহীদ মিনার নির্মাণ-সংস্কারের বরাদ্দও। অভিযোগ আছে, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কয়েক বছরে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কোটি কোটি টাকা। সরেজমিনে কলমাকান্দায় গিয়ে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মন্তলা-ইসুপুর সড়কের কাজ করেছে এলজিইডি। কিন্তু সড়কটি সংস্কার দেখিয়ে টিআর/কাবিখার নামে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সীমান্ত বাজার-বাউশারী, মনকান্দিয়া বাজার-দাইবাড়ী ও কলমাকান্দা হাসপাতাল মোড়-নদীর পাড় সড়ক নির্মাণে ঘটেছে একই ঘটনা। এ সব সড়কও করেছে এলজিইডি। এছাড়া মন্তলা সচিত্র বালক বিদ্যালয়ে নির্মিত শহীদ মিনারের নামে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করলেও তিনটি খুঁটি ছাড়া কোনো কাজ হয়নি। কৈলাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের কথা থাকলেও তা শুধু কাগজে কলমেই হয়েছে। টাকা তুলে খাওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি বিলুরা বিল থেকে উদ্বাখালি নদী পর্যন্ত খাল খনন, উদয়পুর মিতালী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি টয়লেট-ট্যাংক সংস্কার এবং তারানগর গোরস্থান, বড়দল বাজারের দক্ষিণ পাশে গোরস্থান, গাখাজুরা চেয়ারম্যান বাড়ির কাছে গোরস্থান, রহিমপুর আইয়ুব আলীর বাড়ির কাছে গোরস্থান ও চানকোনা গ্রামের সিদ্দিকের বাড়ি থেকে মোতালেবের বাড়ি পর্যন্ত সড়কে মাটি ভরাট প্রকল্পের। কলমাকান্দা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পের সব কাগজপত্র ঠিকঠাক দেখেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। লুটপাটে পিছিয়ে নেই দুর্গাপুরও। এ উপজেলার কুলাগড়া ইউনিয়নের আলালের বাড়ির পাশে গোরস্থানের মাটি ভরাটে ৪০ হাজার, কাকৈরগড়া ইউপির রিংকালভার্ট-বাচ্চু তালুকদারের ধানখেত পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের দুই লাখ, কেট্টা বাট্টা ফেরিঘাটের পাশে টয়লেট নির্মাণের ৭০ হাজার টাকাসহ নামে-বেনামে প্রকল্প বানিয়ে সব লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোলার প্যানেল বিতরণেও রয়েছে অভিযোগ। অনেক পাকা বাড়িতে শোভা পাচ্ছে দরিদ্রদের সোলার। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তাদের কাছে থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েও সোলার বিতরণ করা হয়নি।  অনেক স্থানে বরাদ্দ করা অনুদান বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের কাছে পৌঁছেনি। কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে কাগজে-কলমে অনুদান থাকলেও তারা তা পায়নি। দুর্গাপুরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমপি ছবি বিশ্বাসের ভাই চন্দনের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও উত্তর মিলেনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর